ইজিপি সিস্টেমের সঙ্গে ডিভিএস’র আন্ত:সংযোগ স্থাপন
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:৪৪ | আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:১১
ঢাকা : বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) কর্তৃক প্রবর্তিত ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সিস্টেমের সঙ্গে ইনস্টিটিউট অব চাটার্ড একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের উদ্ভাবিত ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন সিস্টেমের (ডিভিএস) আন্ত:সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিপিএ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর আইসিএবি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ দুটি ডিজিটাল সিস্টেমের আন্ত:সংযোগ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। আইসিএবি এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
একই অনুষ্ঠানে রেজিষ্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানী অ্যান্ড ফার্মস এর নাম অনুমোদন পোর্টালের সঙ্গেও ডিভিএস-এর আন্তঃসংযোগ স্থাপন উদ্বোধন করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিপিপিএ’র সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শোহেলের রহমান চৌধুরী। বিপিপিএ’র বর্তমান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মির্জা আশফাকুর রহমান, রেজিষ্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানীর রেজিষ্ট্রার মো. মিজানুর রহমান, আইসিএবি’র প্রেসিডেন্ট ফোরকান উদ্দিন এফসিএ এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুভাশীষ বোস প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আইসিএবি’র সিনিয়র উপ-পরিচালক ও আইটি প্রধান দেলোয়ার হোসেন সিস্টেম আন্ত:সংযোগের বিষয়ে একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, দরদাতাদের দরপত্র দাখিলের সময় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অডিট করা আর্থিক বিবরণীও জমা দিতে হয়। সেক্ষেত্রে নানা ব্যত্যয়, অনিয়ম ও অসুবিধার অভিযোগ রয়েছে। ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান এসব ডকুমেন্ট এতদিন ম্যানুয়ালি যাচাই করত। আন্তঃসংযোগ স্থাপনের ফলে এখন এসব ডকুমেন্ট অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে অফিসে বসেই যাচাই করা সম্ভব হবে। ডিভিএস এর সত্যয়ন করা (সার্টিফাইড) আর্থিক বিবরণীতে কিউআর কোড যুক্ত থাকবে। ক্রয়কারী যখন এই কিউআর কোডকৃত আর্থিক বিবরণী পাবে তখন ই-জিপি সিস্টেমের মাধ্যমে ডিভিএস থেকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে তা সঠিক কি না- যাচাই করতে পারবে। এর ফলে কোন জাল সনদ দাখিলের আর সুযোগ থাকবে না। বিভিন্ন ক্ষেত্রে একই প্রতিষ্ঠানের একাধিক আর্থিক বিবরণী তৈরী ও দাখিলের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ম্যানুয়ালী সব ডকুমেন্ট যাচাই করা সময় ও ব্যয় সাপেক্ষ।
শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, আইসিএবি হিসাব-নিকাশে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। বাংলাদেশ আইসিটি খাতে আরও অগ্রগতি অর্জনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আইসিএবি আন্ত:সংযোগ স্থাপনে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। আরও বেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ডিজিটাল ইন্টিগ্রেশনের জন্য সমঝোতা স্মারক প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেওয়া উচিত।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাস্তব, সঠিক ও একক আর্থিক বিবরণী দাখিলের মাধ্যমে সরকারের যেমন রাজস্ব অর্জন বাড়বে তেমনি আর্থিক শৃংখলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। এ পর্যন্ত ই-জিপি সিস্টেমে নিবন্ধিত দরদাতার সংখ্যা প্রায় এক লাখ ২৩ হাজার।
সারাবাংলা/জেজে/আরএস