ক্রিসমাসের আগে অস্ট্রেলিয়ায় দাবানলের তাণ্ডব
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:০৫ | আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:৪৯
ক্রিসমাসের আগে দাবানলের কারণে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ার গ্রাম্পিয়ান্স এলাকার আশেপাশের জনপদগুলো খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অঞ্চলটিতে দাবানলের প্রভাবে বাসিন্দাদের মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) মাত্র দুই ঘণ্টার সময় দেওয়া হয় তাদের জিনিসপত্র সংগ্রহ করে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য। অন্যদিকে জরুরি ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দাবানলে ছড়িয়ে যাওয়া আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
গত এক সপ্তাহে দাবানলে ইতোমধ্যে ৪১,০০০ হেক্টর (১,০১,০০০ একর) জমি পুড়ে গেছে। তবে এখনও কোনো প্রাণহানি বা সম্পত্তির ক্ষতি হয়নি।
বক্সিং ডে-তে তীব্র গরমের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, যা সারা দেশে একাধিক অগ্নি সতর্কতা জারি করেছে। ভিক্টোরিয়ায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে এবং শুষ্ক ও শক্তিশালী বাতাস বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া এবং নিউ সাউথ ওয়েলসেও বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) থেকে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) পর্যন্ত দাবানলের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে।
ভিক্টোরিয়ার স্টেট কন্ট্রোল সেন্টারের মুখপাত্র লুক হেগার্টি বলেন, ‘আমরা প্রায় পুরো রাজ্যজুড়ে চরম বিপদ প্রত্যাশা করছি। এটি ২০১৯-২০২০ সালের ব্ল্যাক সামার-এর থেকেও সবচেয়ে গুরুতর অগ্নি বিপদের পরিস্থিতি।’
আগামী কয়েকদিনের মধ্যে চারটি আন্তঃরাজ্য অগ্নিনির্বাপণ বাহিনী এবং দুটি ঘটনা ব্যবস্থাপনা দলের মোট ১০০ জন কর্মী ভিক্টোরিয়ায় পৌঁছাবে।
গ্রাম্পিয়ান্স এলাকার মানুষজন যাতে ক্রিসমাস পালন করতে পারেন সেজন্যে তাদের মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) নিজ বাড়িতে সাময়িক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে ক্রিসমাসের সামগ্রী, উপহার সংগ্রহ করার জন্য। এই সিদ্ধান্তটি রাজ্যের কান্ট্রি ফায়ার অথরিটির (সিএফএ) প্রধান কর্মকর্তা জেসন হেফারনান নিয়েছেন।
গ্রাম্পিয়ান্স ন্যাশনাল পার্কের দক্ষিণ প্রান্তের বাসিন্দা মেরি অ্যান ব্রাউন বলেন, ‘আমরা ঝুঁকিমুক্ত নই যতক্ষণ না পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হচ্ছে যা মার্চ বা এপ্রিল পর্যন্ত নাও আসতে পারে, তাই সামনে একটি দীর্ঘ গ্রীষ্মকাল অপেক্ষা করছে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৯-২০ সালের দাবানলে কয়েক শতাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে এবং ২৪ মিলিয়ন হেক্টর জমি ধ্বংস হয়েছিল।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অস্ট্রেলিয়া একের পর এক দুর্যোগের মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে রেকর্ড বন্যা এবং চরম তাপমাত্রাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এসব দুর্যোগের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে।
সারাবাংলা/এনজে