সরকার ভাল ভাবে দেশ চালাতে পারছে না : মান্না
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:১৭ | আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:৪৬
ঢাকা: গণতন্ত্রমঞ্চের নেতারা বলেছেন, সরকার ভাল ভাবে দেশ চালাতে পারছে না। সর্বক্ষেত্রে সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। জনগণ যে স্বপ্ন নিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকার শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়া করেছিল, জনগণের সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হচ্ছে। সরকারের সফলতার রেট খুবই কম। সার্বিক বিবেচনায় নিলে জনগণ প্রত্যাখান করবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে আয়োজিত এক সমাবেশে গণতন্ত্রমঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেন। গণসংহতি আন্দোলনের নেতা আবু হাসান রুবেল সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ।
সমাবেশে সরকারকে উদ্দেশ্য করে মঞ্চের নেতারা বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের সময় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও আইন শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছিল। এখনও তাই হচ্ছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নেই। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে গণতন্ত্র মঞ্চ বাধ্য হবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে নামতে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারকে দেশ ছাড়া করে জনগণ একটি শান্তির দেশ আশা করেছিল। কিন্তু আজ দেশে শান্তি নেই। গুপ্ত হত্যা চলছে। চাঁদাবাজি, ছিনতাই বেড়ে গেছে। প্রশাসনে অশান্তি বিরাজ করছে। গত চার মাসে সরকার কোন কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে নি। জনগণ যে স্বপ্ন নিয়ে স্বৈরসরকার শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েছিল, জনগণের সেই স্বপ্ন আজ দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।
মাহমুদুর রহমান মান্না কুমিল্লায় মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা পরানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের পুলিশ প্রশাসন এখনও গ্রেফতার করতে পারে নি। এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান । তাদের উপর এমন মব জাস্টিস মেনে নেওয়া যায় না।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এ সরকারের মধ্যে দুটি সরকার। প্রধান উপদেষ্টা বলেন এক কথা, আবার তার প্রেস সচিব এবং উপদেষ্টারা বলেন ভিন্ন কথা। সরকারের মধ্যে এ সমন্বয়হীনতা এখন দেশ ও জনগণের কাছে দৃশ্যমান।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল হক বলেন, সরকার ভাল ভাবে দেশ চালাতে পারছে না। জাহাজে হত্যাকান্ড, সারাদেশে গুপ্ত হামলার ঘটনা ঘটছে, ছিনতাই রাহাজানি বেড়েছে। সরকার জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। রাজনৈতিক দলগুলো সরকারকে সমর্থন দিয়েছে বলে জনগণ সব কিছু সহ্য করছে। এখনও সময় আছে দ্রব্যমূল্য ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করুন। দেশের অর্থনীতির অবস্থা খুবই নাজুক। সব কিছু নিয়ে জনগণ উদ্বিগ্ন। জনগণের উদ্বেগ দূর করুন। আর তা না হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ আবার রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।
সাইফুল হক বলেন, সরকার সব কিছুতেই সংস্কারের ট্যাবলেট খাওয়াইয়া ক্ষুধা নিবারণ করতে চায়। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোন কথা বলতে চাচ্ছে না। একলা নীতি নিয়ে সরকার পথ চলছে।
ভাসানী পরিষদের প্রধান শেখ রকিুল ইসলাম বাবলু বলেন, শেখ হাসিনার পতনের পর সরকার দেশে সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের উপর হামলা, গলায় জুতার মালা পরিয়ে ঘুরানো হয়েছে। এসব কীসের ঈঙ্গিত? মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা দেশ ও জাতিকে অপমান করার শামিল।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/আরএস