বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের ১৫ দফা দাবি
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:০১ | আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৬
ঢাকা: ক্যাডার থেকে বাদ দেওয়ার অপচেষ্টার প্রতিবাদে ১৫ দফা দাবি জানিয়ে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বলেছেন, আগামী ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে সরকারকে একটি সন্তোষজনক উদ্যোগ নিতে হবে। আর যদি এ সময়ের মধ্যে সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোন উদ্যোগ দৃশমান না হয়, তাহলে ৩১ ডিসেম্বর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি’র (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তাজিব উদ্দিন। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রফেসর মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, প্রফেসর ড. রুহুল কাদির, প্রফেসর ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল, প্রফেসর সৈয়দ মইনুল হাসান এবং প্রফেসর মুহাম্মদ ফাতিহুল কাদির প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনের সভাপতি প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম বলেন, এই বৈষম্য দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর হবে না। শিক্ষা ক্যাডার চরমভাবে বঞ্চিত হয়েছে। এগুলো বিশেষ ও অসৎ উদ্দেশে করা হয়েছে। এটা আমাদের জন্য অনাকাঙ্খিত। আমরা এই বৈষ্যমের নিরসন চাই। তাই ১৫ দফা দাবি জানালাম।
দাবিগুলো হচ্ছে- বিসিএস সাধারণ শিক্ষাকে বহিভূর্ত করার পরিকল্পনা ও উদ্যোগ থেকে সরে আসার সুস্পষ্ট ঘোষণা প্রদান; সকল প্রকার কোটা-বৈষম্য তুলে দিয়ে মেধার ভিত্তিতে সরকারের উপসচিব পদে যোগদান নিশ্চিত করতে তা শতভাগ উন্মুক্ত করা এবং প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সকল ক্যাডারের কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে সমান সুযোগ দেওয়া; মন্ত্রণালয়সহ ক্যাডার সংশ্লিষ্ট সকল পদে স্ব স্ব ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদায়ন করা অর্থাৎ কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা; শিক্ষা ক্যাডারসহ সকল ক্যাডারের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা; বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার একটি পেশা বিশেষায়িত ক্যাডার, তাই সাধারণ শিক্ষার অন্তর্গত সাধারণ ও মাদরাসা শিক্ষা ধারার সকল শিক্ষা স্তর যেমন প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ শিক্ষা কিংবা মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সকল পদ হতে প্রশাসন ক্যাডারের অপেশাদার ও অশিক্ষিত কৃষক কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করা; সাধারণ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট যে সব দফতরের নিয়োগ বিধিমালায় অন্যায্যভাবে প্রশাসন ক্যাডারের পদস্তর উল্লেখ করে একতরফা গেজেট করা হয়েছে, তা সংশোধন করে এতে শিক্ষা ক্যাডারের পদস্তর সংযোজন করা;। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে ৬ স্তরের পদসোপান প্রতিষ্ঠা করা; বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের অধ্যাপক পদকে তৃতীয় গ্রেডে উন্নীত করা এবং আনুপাতিক হারে প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় গ্রেডের পদ সৃষ্টি করা; প্রতিটি শিক্ষা স্তরের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম তদারকির জন্য অঞ্চল, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্যাডার কর্মকর্তাদের পদ সৃষ্টি ও দফতর স্থাপন করা; এছাড়া ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রশিক্ষণ একাডেমি ও গবেষণা ইস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা; কলেজ ও দফতর অধিদফতরগুলোর বিদ্যমান প্যাটার্ন অনুযায়ী শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারিদের প্রাপ্য পদ সৃজন করা; নিয়মিত রুটিনে বছরে দুইবার সকল টায়ারে একই সঙ্গে পদোন্নতি প্রদান করা; প্রভাষকদের পদোন্নতির শর্তপূরণ হলে যত দ্রুত ষষ্ঠ গ্রেডে পদোন্নতি দেওয়া; শিক্ষাকে নন-ভেকেশন ডিপার্টমেন্ট ঘোষণা এবং অর্জিত ছুটি নিশ্চিত করা; অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষদের প্রাধিকারের ভিত্তিতে গাড়ি প্রদান নিশ্চিত করা; বদলী নীতিমালা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা; ক্যাডার পার্শ্ব প্রবেশ বন্ধ করা; ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স এ শিক্ষা ক্যাডারের মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করা।
সারাবাংলা/জেজে/আরএস