অগ্নিকাণ্ডে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২ জনের মৃত্যু, পুড়ল ৫০০ ঘর
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:২৩ | আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৬
কক্সবাজার: কক্সবাজারে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে এবং পাঁচ শতাধিক বসত ঘরসহ নানা স্থাপনা পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিটের পাশাপাশি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী কর্মীদের দুই ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকাল পৌনে ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উপ-পরিচালক মো. তানহারুল ইসলাম।
আগুনের ঘটনায় দ্বগ্ধ হয়ে মৃত্যু হওয়া দু’জনের মরদেহ উদ্ধার হলেও তাদের নাম ও পরিচয় তাৎক্ষণিক নিশ্চিত করতে পারেন নি তিনি।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উপ-পরিচালক মো. তানহারুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং এলাকার লম্বাশিয়া ১-ওয়েস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকে অগ্নিকান্ডের এ ঘটনা ঘটে।’
স্থানীয়দের বরাতে তিনি বলেন, ‘দুপুরে উখিয়ার লম্বাশিয়া ১-ওয়েস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকের একটি বসত ঘরে আকস্মিক আগুন লেগে যায়। এতে আগুন ক্যাম্পটির আশপাশের বসত ঘরসহ অন্যান্য স্থাপনায় মুহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প প্রশাসনসহ স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। পরে সেখানে কক্সবাজার ও টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের আরও ৫টি ইউনিট যোগ দেয়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায় সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ সদস্যসহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা। প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টার পর বিকাল পৌনে ৩টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে- তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি- জানিয়ে তানহারুল ইসলাম বলেন, ‘এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তদন্ত চালাচ্ছে। তবে স্থানীয়রা ধারণা করছেন যে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট অথবা রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। আগুনের সূত্রপাত খুঁজে বের করতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের পাশাপাশি পুলিশও কাজ করছে। তদন্ত কাজ শেষে চুড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হবে। পুনরায় যাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ অব্যাহত রেখেছে।’
সারাবাংলা/এমপি