Wednesday 25 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এবার ভারত সীমান্ত লাগোয়া চিন প্রদেশ আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:৪১ | আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:৫০

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইনের পরে এবার মণিপুর লাগোয়া চিন প্রদেশের দখল নিয়েছে মিয়ানমারের আরাকান আর্মি। এই অংশেই মায়ানমারের কুকি জনগোষ্ঠীর (কুকি-চিন নামে পরিচিত) বসবাস। ফলে নতুন করে সীমান্ত পেরিয়ে মণিপুরে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী আউং সান সু চির সমর্থক স্বঘোষিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’ নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইরাবতী’ জানিয়েছে, চিন প্রদেশের ৮৫ শতাংশই বিদ্রোহীদের দখলে।

বিজ্ঞাপন

চলতি মাসের শুরুর দিকে বৃহত্তম বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির নেতৃত্বে বিদ্রোহীরা দখল করে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন প্রদেশ।

জান্তাবিরোধী নতুন জোট ‘চিন ব্রাদারহুড’-এর শরিক ‘ইয়াও ডিফেন্স ফোর্স’, সাগাইন অঞ্চলে সক্রিয় ‘ইয়াও আর্মি’ এবং ‘মনিওয়া পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ চিন প্রদেশ দখলের লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে বলে ‘দ্য ইরাবতী’র প্রতিবেদনে বলা হয়।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী আউং সান সু চির দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি’র নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করেছিল মিয়ানমার সেনা। শুরু হয়েছিল সামরিক জান্তার শাসন। তার আড়াই বছরের মাথায়, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে সে দেশের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী— ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)-র নতুন জোট ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ সামরিক জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।

২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে আরাকান আর্মি রাখাইনের ১৭টি শহরের মধ্যে ১৩টি তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। আরাকান আর্মি বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইনের মংডু ও বুথিডাং এবং চিন প্রদেশের পালেতোয়া এই তিনটি শহরেরই নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এইচআই

আরাকান আর্মি ভারত মিয়ানমার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর