বয়স তার ৪০ ছুঁইছুঁই। তার সমসাময়িক ফুটবলারদের প্রায় সবাই চলে গেছেন অবসরে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো অবশ্য এখনো মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। ইউরোপ ছেড়ে সৌদি আরবে পাড়ি জমানো সিআর সেভেনের ২০২৪ সালটা কেমন কাটল, চলুন দেখে নেওয়া যাক।
আল নাসর ও পর্তুগালের হয়ে বছরজুড়েই মাঠে ছিলেন রোনালদো। ক্লাব ও জাতীয় দলের জার্সি গায়ে একের পর এক গোল ও অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। গোলবন্যা বইয়ে দিলেও এই বছর কোনো শিরোপা ছুঁয়ে দেখা হয়নি রোনালদোর।
সৌদি প্রো লিগে ২০২৪ সালে আল নাসরের হয়ে ২৫ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন রোনালদো। গোল পেয়েছেন ২৫টি, অ্যাসিস্ট ছিল ৪টি। প্রতি ৮৪ মিনিটে একটি করে গোল পেয়েছেন সিআর সেভেন। প্রতি ৭৩ মিনিটে ছিল একটি অ্যাসিস্ট।
কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে আল নাসরের হয়ে ৮টি ম্যাচ খেলেছেন রোনালদো। এই ৮ ম্যাচে করেছেন ৮ গোল। এই টুর্নামেন্টে এই বছর কোনো অ্যাসিস্ট আসেনি রোনালদোর পা থেকে।
সৌদি কিংস কাপে এই বছর রোনালদো খেলেছেন ৩টি ম্যাচ। এই দুই ম্যাচে করেছেন ২ গোল, ছিল না কোনো অ্যাসিস্ট।
সৌদি সুপার কাপে আল নাসরের হয়ে রোনালদো খেলেছেন ৩ ম্যাচে। এই সময়ে রোনালদো করেছেন ২ গোল, অ্যাসিস্ট ছিল একটি।
সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে ২০২৪ সালে আল নাসরের হয়ে ৩৯ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন রোনালদো। এই সময়ে রোনালদো গোল করেছেন ৩৬টি, অ্যাসিস্ট ছিল ৫টি। প্রতি ৯৪ মিনিটে একটি করে গোল করেছেন সিআর সেভেন। প্রতি ৮৩ মিনিটে ছিল একটি অ্যাসিস্ট।
ক্লাবের মতো জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নেমেও গোল পেয়েছেন রোনালদো। ইউয়েফা নেশনস লিগে পর্তুগালের হয়ে ৫ ম্যাচে সিআর সেভেন করেছেন ৫ গোল, অ্যাসিস্ট ছিল একটি। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে পর্তুগালের হয়ে ২ ম্যাচে রোনালদো করেছেন ২ গোল।
সব টুর্নামেন্টে গোল পেলেও ইউরোতে পুরোপুরি ব্যর্থ রোনালদো। নিজের শেষ ইউরো খেলতে নেমে ৫ ম্যাচে একটিও গোল করতে পারেননি রোনালদো। পুরো টুর্নামেন্টে মাত্র একটি অ্যাসিস্ট ছিল তার।
সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে ৫১ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন রোনালদো। এই সময়ে প্রথম ফুটবলার হিসেবে পেশাদার ফুটবলে ৯০০ গোলের মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন তিনি। তার পা থেকে এসেছে ৪৩টি গোল, অ্যাসিস্ট ছিল ৭টি। প্রতি ১০৩ মিনিটে একটি করে গোল করেছেন, প্রতি ৮৯ মিনিটে ছিল একটি করে অ্যাসিস্ট।