ক্রিসমাস ট্রি পোড়ানোর ঘটনায় সিরিয়ায় ব্যাপক বিক্ষোভ
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:৩১ | আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:৫৩
সিরিয়ার সুকায়লাবিয়াহ শহরের প্রধান চত্বরে ক্রিসমাস ট্রিতে আগুনের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এতে দেশটির নতুন কর্তৃপক্ষকে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। দেশটির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত এই শহরটি খ্রিষ্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ক্রিসমাসের আগের রাতে ক্রিসমাস ট্রিতে আগুন দিচ্ছে দুই মুখোশধারী। ভিডিওতে দেখা যায়, ওই ঘটনার পর সুকায়লাবিয়াহ চত্বরে বিক্ষুব্ধদের সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন এইচটিএস-এর ধর্মীয় নেতা।
খ্রিষ্টানদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে তাকে ক্রস ধরে থাকতে দেখা যায়, যা সাধারণত রক্ষণশীলরা করেন না।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দামেস্কের একাংশসহ বিভিন্ন এলাকায় আগের চেয়ে বেশি বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে আসে। দামেস্কের কাসা এলাকায় লোকজনকে বিদেশি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে দেখা গেছে।
তারা বলছিলেন, ‘সিরিয়া এখন মুক্ত, নন-সিরিয়ানদের চলে যাওয়া উচিত।’
দামেস্কের কাছে বাব তৌমা এলাকায় বিক্ষোভকারীরা একটি ক্রস আর সিরিয়ার পতাকা বহন করছিলেন। তারা বলছিলেন, ‘আমরা আমাদের ক্রসের জন্য জীবন দেব।’
জর্জেস নামের একজন বিক্ষোভকারী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের খ্রিষ্টান ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে আমাদের দেশে বাস করতে না পারি তাহলে আমরা এখানে থাকব না।’
সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) জানিয়েছে, এ ঘটনায় কয়েকজন বিদেশি যোদ্ধাকে আটক করা হয়েছে। এই সংগঠনের নেতৃত্বেই সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারকে উৎখাত করা হয়েছে। এইচটিএসের সপ্রতিনিধিরা সিরিয়ার ধর্মীয় ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের স্বাধীনতা ও অধিকার সুরক্ষার অঙ্গীকার করেছে।
উল্লেখ্য, সিরিয়ায় অনেক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও ধর্মীয় গোষ্ঠীর বসবাস আছে। এর মধ্যে আছে কুর্দি, আর্মেনিয়ান, আসিরিয়ান, খ্রিষ্টান, দ্রুজ, আলাউয়ি শিয়া ও আরব সুন্নি। শিয়া ও সুন্নি মিলে দেশটির মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী।
সারাবাংলা/এসডব্লিউ