বড়দিনে চার্চে চার্চে দেশ ও জাতির শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় প্রার্থনা
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৪৪ | আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:৪০
ঢাকা: খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন (ক্রিসমাস ডে) আজ বুধবার (২৫ ডিসেম্বর)। সারা বিশ্বের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মতো বাংলাদেশের খ্রিষ্ট ধর্মের অনুসারিরাও ধর্মীয় আচার, প্রার্থনা ও আনন্দ-উৎসবের মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করছেন।
আজ সকাল থেকেই রাজধানীর গির্জাগুলোতে প্রার্থনাসহ চলছে নানা আয়োজন। এ জন্য গির্জাগুলো বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। যিশুখ্রিষ্টের জন্মভূমি প্যালেস্টাইনে চলমান যুদ্ধ বন্ধে এদিন রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রানীর গির্জায় প্রার্থনা করা হয়।
এদিন রাজধানীর কাকরাইল ও তেজগাঁওয়ের চার্চে সকাল থেকেই শুরু হয় ধর্মীয় বিভিন্ন কার্যক্রম। এতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা অংশ নিয়েছেন। এ সময় দেশ-জাতি ও বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বাস করা খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী মানুষের শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়েছে।
এসব চার্চে প্রার্থনায় কয়েকশ’ খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী মানুষ অংশ নেন। প্রার্থনায় ঈশ্বর যেন সবার সুস্বাস্থ্য, বিশেষ আশীর্বাদ, দীর্ঘায়ু দান, দেশের নেতা-নেত্রীরা যেন দেশের সেবা করতে পারেন এবং প্রেম ও শান্তি স্থাপনের কাজ করতে পারেন- এ কামনা করা হয়।
প্রার্থনায় আরও বলা হয়, আমরা দেশের সব মানুষের মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করছি। মানুষ মানুষের জন্য। জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের দেশের সবাই যেন একতা, মিলন ও ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় থাকে। একইসঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে শান্তি ও সমৃদ্ধির কামনা করছি। বিশেষ করে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে যেন ন্যায্যতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়।
এদিন কাকরাইল চার্চের সহকারী বিশপ সুব্রত বনিফাস গমেজ বলেন, পুরো বিশ্বে যেন শান্তি-প্রতিষ্ঠা হয় সে প্রার্থনা আমরা করেছি। প্রভু যিশু আজকের দিনে জন্ম নিয়েছিলেন। তাই দিনটিকে আমরা বড়দিন এবং নববর্ষ হিসেবে পালন করে থাকি৷ বড়দিন উৎসবে আমরা সবাই আপন, যিশু যেমন নিজে বিনম্র হয়েছেন সবাইকে ভালোবাসায় রিক্ত করেছেন সেটি যেন নিজেদের মধ্যে ধারণ করি। একইসঙ্গে দেশের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বানও জানান তিনি।
অপরদিকে, বড়দিন ঘিরে কাকরাইল চার্চে বিভিন্ন আয়োজন করা হয়েছে। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নানা বয়সী মানুষজন দিনভর এখানে এসব কার্যক্রমে অংশ নেবেন।
তেজগাঁও চার্চেও একই ধরনের দৃশ্য দেখা গেছে। আজ বড়দিন উপলক্ষ্যে চার্চগুলো রঙিন আলোকসজ্জা, ক্রিসমাস ট্রি এবং বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতীকে সজ্জিত করা হয়েছে।
বড়দিন উপলক্ষে আজ সারাদিন আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করবেন খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা। দিনটি উপলক্ষে অনেক খ্রিষ্টান পরিবারে কেক তৈরি করা হবে, থাকবে বিশেষ খাবারের আয়োজন। বড়দিন উপলক্ষে সংবাদপত্রগুলো বিশেষ লেখা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশনগুলোতে আজ বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করা হবে।
খ্রিষ্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট এই দিনে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের বেথলেহেম শহরের এক গোয়ালঘরে জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানব জাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালনা করার জন্য যিশুখ্রিষ্ট জন্ম নিয়েছিলেন।
খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসবে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ