‘নিখোঁজ’ খালেদ হাসান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:০১ | আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:১০
ঢাকা: নিখোঁজের পাঁচ দিন পর হলে ফেরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক খালেদ হাসানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি এখন হাসপাতালটির কেবিনে চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীরা তাকে এনে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালে খালেদ হাসানের সঙ্গে থাকা আরবি বিভাগের একই বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, খালিদ গত শুক্রবার নিখোঁজ হয়। তাকে খুঁজে বের করতে আমরা ডিবি পুলিশের সঙ্গে কাজ করছিলাম। মঙ্গলবার রাতেও যখন আমরা ডিবির সঙ্গে, তখন রাত সাড়ে ১১টার দিকে খবর পাই, খালেদ হলে ফিরেছে। হলে ফিরে তাকে বিমর্ষ অবস্থায় দেখতে পাই। সে খুব ক্লান্ত ও দুর্বল ছিল। কথা বলতেও চাচ্ছিল না। এ জন্য আমরা তখন কেউ তার সঙ্গে কোনো কথা বলিনি। রাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আসে এবং তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।
খালেদ হাসানের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন আছে কি না— জানতে চাইলে ওই সহপাঠী বলেন, ‘হলে আমরা দেখার চেষ্টা করেছি তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন আছে কি না। তবে সে রকম কোনো চিহ্ন পাইনি। কিন্তু তার হাতে ইনজেকশন পুশ করানোর মতো একটি ছোট চিহ্ন দেখেছি।’
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, মধ্যরাতে খালেদ হাসানকে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসকরা তাকে কেবিনে ভর্তি রাখেন। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে বিশ্লেষণে শুক্রবার সন্ধ্যায় খালেদ হাসানকে মতিঝিল এলাকায় দেখা যায়। এরপর কমলাপুর রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারে ঢুকতে এবং এর কিছুক্ষণ পর একাই কাউন্টার থেকে বের হয়ে যেতে দেখা যায় তাকে। এরপর আবার তাকে মতিঝিল এলাকায় দেখা যায়। তবে তার সঙ্গে কোনো ফোন দেখা যায়নি। তার ব্যবহৃত ফোনটি হলেই ছিল। ওই দিন কমলাপুর কাউন্টার থেকে টিকিটও কাটেননি তিনি।
সারাবাংলা/এসএসআর/এমপি/টিআর