‘রাষ্ট্রপতি যত হত্যার আসামিকে ক্ষমা করেছেন, ইতিহাসে নেই’
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো: রাষ্ট্রপতি যে পরিমাণ হত্যা মামলার আসামিকে ক্ষমা করেছেন, তা ইতিহাসে নেই বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের হোটেল রেডিসনে ‘বাংলাদেশের বিকশিত অর্থনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে অভিগমন’ শীর্ষক দিনব্যাপী সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে উপদেষ্টা একথা বলেন। ইনস্টিটিউট অফ কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ বাংলাদেশ (আইসিএমএবি), চট্টগ্রাম শাখা এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘অবৈধ আর্থিক বহিঃপ্রবাহ, অলিগার্কের উত্থান, গুটিকয়েক লোকের হাতে সম্পদের কেন্দ্রীকরণ, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উভয় প্রতিষ্ঠানের ধ্বংস এবং ব্যাপক দুর্নীতি দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করেছে। ছাত্র-নাগরিক বিদ্রোহের মাধ্যমে গঠিত নতুন সরকার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’
‘বিগত সরকারের আমলে রাজনীতিবিদ, আমলা, বিচারক, বিভিন্ন বাহিনী- এরা মিলে একটি দুর্নীতির জোট তৈরি করেছিল। শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতি যে পরিমাণ হত্যা মামলার আসামিকে ক্ষমা করেছেন তা ইতিহাসে নেই।’
জুলাই-আগস্টের শহীদদের মর্যাদা দিতে দেশের সব শিল্পখাতে সেক্টর ধরে সংস্কার করা হবে বলে জানান তিনি। এ জন্য ব্যবসায়ীদের ৫০ শতাংশ ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন আর্থিক খাতে দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘দুই হাজার কোটি সম্পদমূল্যের কারখানাকে সরকার কি করে ২৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিল? বাংলাদেশে প্রাইভেট সেক্টরে ২০০-২৫০ রকমের দুর্নীতি হয়। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে রাজনৈতিক সংস্কার নয়, অর্থনৈতিক সংস্কারই প্রধান চ্যালেঞ্জ।’
বাণিজ্য সচিব জানান, সরকার জাপানসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট করার উদ্যোগ নিচ্ছে। আগামী বছর দেশে মূল্যস্ফীতি কাটিয়ে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে বলেও আশা সচিবের।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান সম্মেলনের মূল প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন।
এতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, বিএসআরএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আলী হোসেন আকবর আলী এবং আইসিএমএবির প্রেসিডেন্ট মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বক্তব্য দেন।
সারাবাংলা/আরডি/ইআ