প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের ভাতা নবম গ্রেডে উন্নীত করার দাবি ড্যাবের
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৭
ঢাকা: দেশের পোস্ট গ্রাজুয়েট বিভিন্ন কোর্সে অধ্যয়নরত অবৈতনিক প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের মাসিক বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করে নবম গ্রেডে উন্নীত করার দাবি জানিয়েছে ডক্টরস অ্যাসেসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ ও মহাসচিব ডা. আব্দুস সালামের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়েছে।
চিকিৎসাসেবা একটি মহৎ পেশা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কঠোর পড়াশোনা, পরিশ্রম, মুক্ত-বুদ্ধির চর্চা ও কঠোর অধ্যাবসায়ের পর একজন মানুষ চিকিৎসকে পরিণত হন। মেডিকেল এডুকেশন অত্যন্ত ব্যয়বহুল—এটা সর্বজনবিদিত। চিকিৎসকের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য এফসিপিএস, এমডি, এমএস, ডিপ্লোম— বিভিন্ন কোর্সে অধ্যয়নরত চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা করা হয়। যা একজন চিকিৎসকের জন্য বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। একজন চিকিৎসকের জীবিকা নির্বাহের জন্য এই অর্থ খুবই অপ্রতুল। ট্রেইনি চিকিৎসকদের প্রাণের দাবি ছিল তাদের বেতন-ভাতা নবম গ্রেডে উন্নীত করা হোক। চিকিৎসকদের গবেষণায় মনোনিবেশ করা, মানসিক প্রফুল্লতা ও রোগীবান্ধব উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের আর্থিক স্বচ্ছলতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিভিন্ন কোর্সে অধ্যয়নরত অবৈতনিক চিকিৎসকদের বেতন-ভাতা নবম গ্রেডে উন্নীত না করা উচ্চশিক্ষায় নিরুৎসাহিত করার শামিল। যা বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নজিরবিহীন। যেখানে চিকিৎসা সেবায় দ্রুত অগ্রগতি সাধনের লক্ষ্যে বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত সেখানে ট্রেইনি চিকিৎসকদেরকে তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে নবম গ্রেডে উন্নীত করা না হলে বাংলাদেশ বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যাওয়ার আশঙ্কা করছে ড্যাবের নেতৃদ্বয়।
বিজ্ঞপ্তিতে তরুণ চিকিৎসকদের অত্যন্ত যৌক্তিক ও প্রাসঙ্গিক দাবির প্রতি ড্যাবের সমর্থন অব্যাহত থাকবে। নবম গ্রেডে উন্নীতকরণের প্রাসঙ্গিক দাবিটি মেনে নিয়ে তাদেরকে দেশসেবায় নিযুক্ত হওয়ার সুযোগ প্রদানে প্রয়োজনীয় পদক্ষে নিতে অন্তবর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করেন তারা।
সারাবাংলা/এসবি/ইআ