জানা যায়নি আগুনের সূত্রপাত, কাজ শুরু করেছে কমিটি
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:০৫ | আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:২৯
ঢাকা: প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনের চারটি ফ্লোরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আগুনের সূত্রপাত খুঁজছেন গোয়েন্দাসহ বিভিন্ন বাহিনীর অনুসন্ধানী টিম। চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। প্রাথমিক পরিদর্শনে কর্মকর্তাদের ধারণা এটি নাশকতাও হতে পারে। এদিকে ঘটনার প্রকৃত কারণ তদন্তে গঠন করা হয়েছে কমিটি। যা এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘রাত ১টা ৫২মিনিটে আমরা ম্যাসেজ পাই সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে আগুন লেগেছে। ১টা ৫৪ মিনিটের মধ্যে আমাদের ইউনিট পৌঁছে যায়।’
তিনি বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশে কিছুটা সীমাবদ্ধতা আছে। বিশেষ করে বড় গাড়িগুলো ঢোকানো কঠিন ছিল। সচিবালয়ের গেট ভেঙে দুটি বড় গাড়ি ঢোকানো হয়। ছয়, সাত, আট ও ৯ এই চারটি তলায় আগুন লেগেছে। প্রাথমিকভাবে আগুনের সূত্রপাতের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
যদিও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সিনিয়র চীফ পেডি অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম বলেছেন, ‘ভিতরের পরিস্থিতি দেখে ধারণা করছি কোনো শটসার্কিট থেকে আগুন লাগেনি। এটা পরিকল্পিত হতে পারে। এখানে দেখা গেছে বিভিন্ন স্থান থেকে আগুনটা লেগেছে বলে আমাদের প্রাথমিক ধারণা।
এদিকে আগুনের কারণ খুঁজতে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জেলা ও মাঠপ্রশাসন) মোহাম্মদ খালেদ রহীমকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়, অগ্নিকাণ্ডের উৎস ও কারণ উদঘাটন, অগ্নি দুর্ঘটনার পেছনে কারো ব্যক্তিগত বা পেশাগত দায়দায়িত্ব আছে কি না তা উদঘাটন, এ জাতীয় দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করতে সুপারিশ করবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘটনা তদন্তে এরই মধ্যে টিম গঠন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেসকল কর্মকর্তাদের পদ প্রকাশ করা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে, তাদের নিয়ে বৈঠকে বসার প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত ১টা ৫২ মিনিটে সচিবালয়ে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। সচিবালয়ে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটটি রাত ১টা ৫৪ মিনিট থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। আগুনের তীব্রতা বেড়ে গেলে একে একে ১৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। শুরুতে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য ৮টি ইউনিট কাজ করলেও পরে আরও ১১টি ইউনিট যুক্ত হয়।
সারাবাংলা/জেআর/এইচআই