৮৪ আসন শূন্য রেখে শেষ হলো নোবিপ্রবির ভর্তি প্রক্রিয়া
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:১০
৮৪টি আসন ফাঁকা রেখেই ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ ঘোষণা করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)। সবচেয়ে বেশি ১৯টি শূন্য আসন রয়েছে শিক্ষা বিভাগে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ তামজিদ হোসাইন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রার দফতরের তথ্য মতে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে নোবিপ্রবিতে মোট আসন সংখ্যা ছিল এক হাজার ৪৮৩টি। সাধারণ ক্যাটাগরিতে এক হাজার ৪১৭টি ও কোটায় ছিল ৬৬টি আসন। সবশেষ গত ৮ ডিসেম্বর ষষ্ঠ ধাপ শেষে সাধারণ ক্যাটাগরিতে এক হাজার ৩৩৩ জন ও কোটায় ৬৪ জনসহ মোট এক হাজার ৩৯৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন। ফলে সাধারণ ক্যাটাগরিতে ৮২ ও কোটায় দুটিসহ মোট ৮৪ আসন ফাঁকা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম শেষ করেছে নোবিপ্রবি।
শূন্য আসনগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৯টি শিক্ষা বিভাগে, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩টি সমাজকর্ম বিভাগে ১৩, তৃতীয় সবোচ্চ ৯টি বাংলা বিভাগে। এ ছাড়া সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগে ছয়টি ও শিক্ষা প্রশাসন বিভাগে পাঁচটি আসন ফাঁকা। আইএসএলএম বিভাগ এবং মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে আসন ফাঁকা চারটি করে। তিনটি করে আসন ফাঁকা ফিমস, সমাজবিজ্ঞান ও অর্থনীতি বিভাগে।
এ ছাড়া পরিসংখ্যান, এফটিএনএস, ইংরেজি, ব্যবসায় প্রশাসন ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে দুটি করে আসন ফাঁকা থাকছে। একটি করে আসন ফাঁকা থাকছে বিএমবি, ইএসডিএম, কৃষি, প্রাণিবিদ্যা ও এমআইএস বিভাগে।
নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ তামজিদ হোসাইন চৌধুরী বলেন, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের বৈঠকের মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক্ষেত্রে ৮৪টি আসন ফাঁকা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।
জানতে চাইলে নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যদের বৈঠকে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে নোবিপ্রবিতে অনেক আসন ফাঁকা থাকলেও আমরা শিক্ষার্থী ভর্তি নিতে পারছি না।
উপাচার্য আরও বলেন, নোবিপ্রবিসহ আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শূন্য আসন পূরণের জন্য বিশেষ মাইগ্রেশান দিয়ে ভর্তির বিষয়ে প্রস্তাব বৈঠকে করেছিলাম। কিন্তু অধিকাংশ উপাচার্যের অভিমত ছিল গুচ্ছভুক্ত সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একই নিয়ম প্রযোজ্য হোক। সে সিদ্ধান্ত মেনেই আসন খালি রেখে ২০২৩-৩৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আসন ফাঁকা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম বন্ধের জন্য গুচ্ছ পদ্ধতির জটিল প্রক্রিয়াকে দায়ী করে নোবিপ্রবি উপাচার্য বলেন, এ বছর গুচ্ছে থাকার জন্য এখন পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় তিনটি চিঠি দিয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রয়োজনে আমরা গুচ্ছে থাকব। তবে অন্যান্য সমপর্যায়ের বিশ্ববিদ্যালয় যদি গুচ্ছ থেকে বের হয়ে যায়, তাহলে এই পদ্ধতি থেকে বের হওয়ার বিষয়ে আমরা একাডেমিক কাউন্সিলের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেব। গুচ্ছ থেকে বের হওয়ার সক্ষমতা আমাদের আছে।
সারাবাংলা/টিআর