তাবলিগ জামাত: সাদ ও জুবায়েরপন্থিদের জন্য যে নির্দেশনা মন্ত্রণালয়ের
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:২৭ | আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:২৯
ঢাকা: তাবলিগ-জামাতের দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভী গ্রুপের অনুসারীদের শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাকরাইল মসজিদে রাত্রিযাপনসহ সব ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
একইসঙ্গে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদ ও এর আশপাশের এলাকায় শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) মাওলানা জুবায়ের অনুসারীদের বড় জমায়েত না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের থেকে তাবলিগ জামাতের কাকরাইল মসজিদে শবগুজারি (রাত্রিযাপন) কার্যক্রম চলাকালে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ব্যবস্থা গ্রহণে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।
জননিরাপত্তা বিভাগের (রাজনৈতিক-৬ শাখা) উপসচিব ইসরাত জাহানের সই করা অফিস আদেশে বলা হয়েছে, উপযুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, শুক্রবার কাকরাইল মসজিদের আশেপাশে মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়েরের অনুসারীদেরকে কোনো রকমের বড় জমায়েত হতে বিরত থাকার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের শুরায়ী নেজাম মাওলানা জুবায়ের অনুসারীদের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান সারাবাংলাকে বলেন, ‘কাকরাইলে মসজিদে আমাদের পক্ষ থেকে তাবলিগ জামাতের সকল কার্যক্রম চলবে। তবে শুক্রবার আমাদের বড় জমায়েত থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা আমরা মেনে চলব।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাওলানা সাদপন্থিদের সন্ত্রাসীমূলক কার্যক্রমের কারণে সরকার কাকরাইল মসজিদে তাদের রাত্রিযাপনসহ সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। শুক্রবার থেকে পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া পর্যন্ত কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থিরা কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না।’
তবে সাদপন্থি নেতা ও দ্বিতীয় পর্ব ইজতেমা আয়োজনের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম বলেন, ‘সাদপন্থিদের সব কার্যক্রম পালনে নিষেধাজ্ঞা নয়। গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আমাদের ডেকেছিলেন। তিনি বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য আমাদের সপ্তাহখানেক কাকরাইল মসজিদে না যেতে বলেছেন। এ কারণে আজকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। যাতে করে উদ্ভূত পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে কাকরাইলে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় এবং হেফাজতে ইসলামের উগ্র আচরণের কারণে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির তৈরি না হয়। এসব পরিস্থিতি এড়ানোর জন্যই আমরা এ সপ্তাহে কাকরাইল মসজিদে যাবো না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত হলো আমরা কোনো বিবেধে যাবো না। আগামী ইজতেমা পর্যন্ত সরকার কী পদক্ষেপ নেয়, সেটার জন্য অপেক্ষা করবো। সে পর্যন্ত আমরা এখন যেখানে আছি, (টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের পশ্চিম পাশে) সেখানেই থাকবো।’
উল্লেখ্য, পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী আগামীকাল শুক্রবার সাদপন্থিদের কাকরাইল মসজিদের দায়িত্ব নেওয়ার কথা ছিল। কাকরাইল মসজিদ পরিচালনা করার জন্য মাওলানা জুবায়ের অনুসারী ও মাওলানা সাদ কান্ধলভী অনুসারীরা নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর দায়িত্ব পালন করে থাকে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এইচআই