নববর্ষে আতশবাজি-পটকা না ফোটাতে অনুরোধ পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের

সংগৃহীত ছবি

ঢাকা: খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উপলক্ষ্যে থার্টি ফার্স্ট নাইটে দেশব্যাপী আতশবাজি ও পটকা না ফোটাতে সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ধরনের কার্যক্রম বায়ুদূষণ বিধিমালা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলেও মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আতশবাজি ও পটকা ফোটালে তা বিদ্যমান শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। এর আগে এক থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজির শব্দে ভয় পেয়ে হৃদরোগে ভুগতে থাকা এক শিশুর মৃত্যু হয় বলে খবরে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত শব্দের কারণে শ্রবণশক্তি ও স্মরণশক্তি হ্রাস, ঘুমের ব্যাঘাত, দুশ্চিন্তা, উগ্রতা, উচ্চ রক্তচাপ, কান ভোঁ ভোঁ করা, মাথা ঘোরা, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়া, মানসিক অস্থিরতা, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়াসহ মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।

মন্ত্রণালয় বলছে, এ অবস্থায় খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উপলক্ষ্যে থার্টি ফার্স্ট নাইটে জনস্বাস্থ্য ও জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর এ ধরনের বিধিবহির্ভূত কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হলো। এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতা কাম্য।

শব্দদূষণ বিধিমালার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬-এর ৭ বিধি লঙ্ঘন করে অননুমোদিতভাবে ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষ্যে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের সময় আতশবাজি ও পটকা ফোটালে তা বিধিমালার ১৮ বিধি অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য।

ওই বিধিমালায় আতশবাজি বা পটকা ফোটানোর সাজাও উল্লেখ রয়েছে। আইনের ব্যত্যয় হলে বা ভঙ্গ করলে প্রথম অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ এক মাস কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। একই অপরাধ আবার করলে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে।

সারাবাংলা/টিআর/এনজে

আতশবাজি নববর্ষ পরিবেশ মন্ত্রণালয়