‘খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন, দণ্ডিত হলে শেখ হাসিনা পারবেন না’
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:৪৩ | আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:১৮
ঢাকা: অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যেসব মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রমূলক মামলা হয়েছিল সেগুলো এরই মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে। আগামী নির্বাচনে তার অংশগ্রহণে আইনগত বাধা নেই।
তিনি বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ মুখ্য নয়। জুলাই হত্যাকাণ্ডের দায়ে দণ্ডিত হলে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই নির্বাচনে অযোগ্য হবেন। শেখ হাসিনার নির্মম পরিণতি ও পলায়নের পর তার পাশে এখন দলের কেউ দাঁড়াতে সাহস পাচ্ছে না।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর এফডিসিতে ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’ আয়োজিত এক ছায়া সংসদে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘যারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল, সংবিধান কেটে ছিঁড়ে মানুষের অধিকারকে ভূলণ্ঠিত করেছে, তারা ইতিহাসের খলনায়ক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়ে তারা বিচারের মাধ্যমে কারাগারে যাবে।’
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘জুলাই বিপ্লব হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে। এখন বিপ্লবের এই অর্জন ধ্বংসের চেষ্টা চলছে। কোনো ষড়যন্ত্রকারী এই অর্জনকে নস্যাৎ করতে পারবে না। জুলাই বিপ্লবে শহিদরা ইতিহাসের মহানায়ক হয়ে থাকবেন। বিপ্লবীরা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছিল। ১৯৭৩ সালে কুমিল্লা থেকে হেলিকপ্টারে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে ঢাকায় এনে পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করার ধারাবাহিকতায় বিগত তিনটি নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছিল। এসব নির্বাচনকে যারা কলঙ্কিত করেছিল তাদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।’
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারকে চিরদিন ক্ষমতায় থাকার অসৎ উদ্দেশ্যে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার রায় জালিয়াতির দায়ে খায়রুল হকের গ্রেফতার ও বিচার সময়ের দাবি।’
কিরণ বলেন, ‘এদেশে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল পতিত আওয়ামী লীগ সরকার। আমি-ডামি, একতরফা ও মধ্যরাতের নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে।’
‘অতীতের নির্বাচনি অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হলে ভবিষ্যৎ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করা যাবে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকদের পরাজিত করে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।
প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক একরামুল হক সায়েম, সাংবাদিক সাইদুর রহমান ও সাংবাদিক মনিরুজ্জামান মিশন। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
সারাবাংলা/পিটিএম