ভূ-রাজনীতি বিবেচনায় বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছে না ভারত। শেখ হাসিনার মতো একজন ‘বিশ্বস্ত মিত্র’কে হারানোর ঝুঁকি নেবে না দেশটি।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দ্য ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে দমন থেকে শুরু করে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে শেখ হাসিনা ভারতের স্বার্থ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এ ধরনের বিশ্বস্ত একজন মিত্রকে ত্যাগ করা একটি কৌশলগত ভুল হবে। তাই এ ধরনের ঝুঁকি নেবে না ভারত।
তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তবে ভারত এ ধরনের অনুরোধ সতর্কতার সঙ্গেই যাচাই করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সে কারণে এ প্রক্রিয়ায় কয়েক মাস সময় লেগে যেতে পারে।
ওই কর্তকর্তা জানান, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিশ্চিত করতে দিল্লিকে চাপ দিচ্ছে। ঢাকার দাবি মেনে নিয়ে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠালে এ অঞ্চলে ভারতীয় মিত্রদের কাছে একটি নেতিবাচক সংকেত পৌঁছাবে এবং দেশটির সঙ্গে অন্যান্য মিত্রদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
কর্তকর্তারা বলেন, ‘এর আগেও ১৯৭৫ সালে যখন শেখ হাসিনার বাবাকে হত্যা করা হয়, তখনও তিনি ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন অভ্যুত্থানের মুখে দেশত্যাগ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন।
২৩ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছিলেন, ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। পরে ঢাকা থেকে পাঠানো চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।