ইসলামী ব্যাংককে বাদ দিয়ে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নেয়া যাবে না: গভর্নর
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:০১ | আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:৩০
ঢাকা : বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ইসলামী ব্যাংক দেশের এক নম্বর ব্যাংক। এ ব্যাংককে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে নেয়া যাবে না। এ ব্যাংকের উপর মানুষের আস্থা রয়েছে। তাই অল্প সময়ের মধ্যেই ইসলামী ব্যাংক ঘুরে দাড়িঁয়েছে এবং এগিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাংক আর পিছনে ফিরে তাকাবে না।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র ৪০০ তম শাখা হিসেবে ঘাটাইল শাখার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন ম্যানেজিং ডিরেরেক্টর মুহাম্মদ মনিরুল মওলা। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সালাম, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর এম মাসুদ রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তারা, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও স্থানীয় ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
আহসান এইচ মুনসুর বলেন, ব্যাংক কোনো ব্যক্তিগত বা পারিবারিক প্রতিষ্ঠান নয়। এটা সবার জন্য। আমানতকারীরা সবাই ব্যাংকের মালিক। দেউলিয়া হওয়ার পথে ১০টি ব্যাংকের মধ্যে অনেক ব্যাংকই ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ায় অর্থ পাচার কমে গেছে। ফলে অর্থটা ডাইভার্ট না হয়ে দেশে রয়ে গেছে। যারা অর্থ নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন, তাদের অর্থ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, আমাদের মুদ্রাস্ফীতি এখনো অনেক বেশি আছে। এটাকে কমিয়ে আনতে হবে। খাদ্যপণ্যের কারণেই মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি আছে। খাদ্যপণ্যের দাম আমরা আশা করছি কমে আসবে। আগামী চার-পাঁচ মাসের মধ্যে একটা স্বস্তির জায়গায় পৌঁছে যাব।
গভর্নর বলেন, দেশের জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ ইসলামী ব্যাংকের সাথে জড়িত। ৪০০তম শাখা উদ্বোধন এই ব্যাংকের একটি বড় অর্জন। ব্যাংক খাত নিয়ে যে সংশয় সৃষ্টি হয়েছিল- তা দূর হতে শুরু করেছে। এ খাতে যে ধ্স নেমেছিল সেখান থেকে ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে। গত পাঁচ মাস আগে ইসলামী ব্যাংকের যে অবস্থান ছিল, তা থেকে অনেক ভাল অবস্থানে চলে এসেছে। ইতোমধ্যে এ ব্যাংক ৭ হাজার কোটি টাকার নতুন ডিপোজিট সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে। রেমিট্যান্স আহরণেও ইসলামী ব্যাংক শীর্ষ স্থানে রয়েছে।
ওবায়েদ উল্ল্যাহ আল মাসুদ বলেন, ৪০০ শাখা, ২৬৫ উপশাখা, ২৮০০ এজেন্ট আউটলেট ও ৩০০০ এর অধিক এটিএম বা সিআরএমের মাধ্যমে দেশজুড়ে ইসলামী ব্যাংকের বিস্তৃত নেটওয়ার্কই প্রমাণ করে এ ব্যাংকের জনপ্রিয়তা। এ ব্যাংকের কর্মীরা অত্যন্ত সততা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে। একই ছাদের নীচে এতো সৎ ও যোগ্য মানুষ কোথাও নেই।
সারাবাংলা/জিএস/আরএস