জানুয়ারিতে ৩০, জুলাই থেকে ৩৫ হাজার টাকা ভাতা পাবেন ট্রেইনি চিকিৎসকরা
২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:২৭ | আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:৫৬
ঢাকা : পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের ভাতা ৩৫ হাজার টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নতুন এই সিদ্ধান্ত আগামী বছরের জুলাই মাস থেকে বাস্তবায়ন করা হবে। আপাতত আগামী জানুয়ারি থেকে ৩০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন চিকিৎসকরা। সরকারের এই সিদ্ধান্ত মেনে কাজে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে জানুয়ারি মাস থেকে ৩০ হাজার টাকা এবং জুলাই থেকে ৩৫ হাজার টাকা ভাতা পাবেন চিকিৎসকরা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমানের নেতৃত্বে আয়োজিত এ বৈঠকে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস সোসাইটির সভাপতি ডা. জাবির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ডা. নুরুন্নবীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বৈঠকে জাতীয় নাগরিক কমিটির ডা. মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ড্যাব) কোষাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক আতিয়ার রহমান, যুগ্ম সম্পাদক ডা. রুহুল কুদ্দুস বিপ্লবসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বটতলা চত্বরে জড়ো হতে থাকেন প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকরা। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। এ সময় তারা ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। এদিকে তাদের অবরোধের কারণে আশপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়।
এর আগে একই দাবিতে গত ২২ ডিসেম্বর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিলেন চিকিৎসকরা। তখন পাঁচ হাজার টাকা ভাতা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। এর আগে ভাতা বাড়াতে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন ট্রেইনি চিকিৎসকরা। দাবি না মানলে দেশের প্রায় ১৩ হাজার পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসক একযোগে কর্মবিরতিতে যাবেন বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন না হওয়ায় ২২ ডিসেম্বর ট্রেইনি চিকিৎসকেরা আন্দোলন শুরু করেন। তাদের একটি অংশ শাহবাগ অবরোধ করে। পরে সরকার ভাতা ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ হাজার করার ঘোষণা দেয়। ট্রেইনি চিকিৎসকরা এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেন এবং আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
সারাবাংলা/জিএস/আরএস