শহিদের রক্তে লেখা সংবিধানকে কবর দিতে চাইলে কষ্ট লাগে: মির্জা আব্বাস
২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:৩১ | আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:৩৮
ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। সেটাও সম্মুখভাবে অংশগ্রহণ করেছি। আমার সঙ্গের অনেক সহকর্মী, বন্ধু-বান্ধব মারা গেছে। প্রায় ৩০ লাখ মানুষ শহিদ হয়েছে। শহিদের রক্ত দিয়ে লেখা যে সংবিধান, সে সংবিধানকে যখন কবর দেওয়ার কথা বলা হয়, তখন কিন্তু আমাদের কষ্ট লাগে।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি এ মতবিনিময় সভা আয়োজন করে।
ছাত্রনেতাদের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘‘আমরা তোমাদের সিনিয়র, অগ্রজ হিসেবে কষ্ট পাই, এটা কী করছো? এটা করা কি ঠিক হল? ওই সংবিধানে যদি খারাপ কিছু থাকে নিশ্চয় সেটা বাতিলযোগ্য। যদি নতুন কোনো সংবিধান লিখতে হয়, তাও তো লিখতে হবে, আগের অমুক সালের সংবিধান বাতিল করে এই সংবিধান জারি করা হল।’’
তিনি বলেন, ‘‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভাইদের কাছে অনুরোধ করব- বিষয়গুলো বোঝার চেষ্টা করবেন। ভুল বুঝবেন না। কবর দিয়ে দেব, মেরে ফেলব, কেটে ফেলব- এই ধরনের কথাগুলো কিন্তু ফ্যাসিবাদের মুখ থেকে আসে। এগুলো কিন্তু ভালো কথা নয়। জাতি তাকিয়ে আছে আপনাদের দিকে। আমরাও তাকিয়ে আছি তোমাদের দিকে। তোমাদের মুখ থেকে এই ধরনের কথা আমি আশা করি না।’’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘‘আমার প্রশ্ন জাগে, আওয়ামী লীগকে কি আমরা ফিরে আসার রাস্তা করে দিচ্ছি? এই যে আজকে বৈষম্যমূলক কথা-বার্তা বলা হচ্ছে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা যারা আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ হিসেবে কাজ করেছে, তারা এককভাবে এই আন্দোলন নিজেদের করে নিতে চায়। কিন্তু আপনারা দেখেছেন, আমরাও দেখেছি যে, যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন নিভু নিভু, তখন কিন্তু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সামনে এগিয়ে আসে, সাধারণ মানুষ সামনে এগিয়ে আসে, আমরা এগিয়ে যাই।’’
সচিবালয়ে আগুন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এই যে আগুন, আনসার বিদ্রোহ, এ বিষয়গুলো এমনি এমনি হচ্ছে না, কেউ না কেউ উসকানি দিচ্ছে। তারা সচিবালয়েই বসে আছে। তারা আজকে উপদেষ্টাদের সহযোগী হয়ে আছেন। সবাইকে কিন্তু আমরা চিনি।’’
ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিক আলম মজনুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবীনের সঞ্চালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমেদ, সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/আরএস