শেখ হাসিনার ‘ঘৃণাস্তম্ভের’ গ্রাফিতি মোছায় ঢাবি প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি
২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:৩৬ | আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:১৫
ঢাবি: জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মারক, ফ্যাসিবাদবিরোধী শেখ হাসিনার ‘ঘৃণাস্তম্ভের’ গ্রাফিতি মোছার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে একদল শিক্ষার্থী।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাবির টিএসসি থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়ে ভিসি কার্যলায়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন। বিক্ষোভে বাম ছাত্রসংগঠন ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কিছু সদস্যের অংশগ্রহণ দেখা গেছে।
বিক্ষোভে, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী নওরিন সুলতানা তমা বলেন, ‘স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কেনো এনএসআইয়ের কথায় ‘ঘৃণাস্তম্ভের’ গ্রাফিতি মুছে ফেলবে? এই ঘৃণাস্তম্ভ যারা মুছে দিয়েছে তাদের শাস্তি চাই।’
ঢাবি শিক্ষার্থী মাহতিয়ার হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনার ‘ঘৃণাস্তম্ভের’ গ্রাফিতি মোছে দেওয়ার পর এ প্রক্টর কীভাবে দায়িত্বে থাকে? আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি।
নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহিদুজ্জামান জোতি বলেন, ‘আগের প্রশাসন আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ কায়েমে সহযোগিতা করছে। এখনো তারাই এসব করে বেড়াচ্ছে । আমরা সংস্কার চাই। ঢাবি প্রক্টরকে বলতে চাই- দায়িত্ব পালন করতে না পারলে ছেড়ে দেন।
প্রসঙ্গত, শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদের অনুমতিতে মেট্রোরেলের কর্মীরা এটি মুছে ফেলেন। পরে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে মাঝপথে মোছার কাজ বন্ধ করা হয়।
মেট্রোরেলের রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন দুই পিলারের শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রাফিতি আঁকে ছাত্রলীগ। ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্টে শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পর জনতা ওই গ্রাফিতিতে জুতা নিক্ষেপ, রক্তের প্রতীক স্বরূপ লাল রং, ইট-পাটকেল ও ঝাড়ু মেরে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ফলে একসময়ের গ্রাফিতি জনতার ক্ষোভ ও ঘৃণার প্রতীকে রূপ নেয়।
সারাবাংলা/এআইএন/এসআর
গ্রাফিতি ঢাবি ঢাবি প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি শেখ হাসিনার 'ঘৃণাস্তম্ভের'