প্রতিদিন ৪ লাখ ৬৭ হাজার ক্ষতিকর ফাইল শনাক্ত করেছে ক্যাসপারস্কি
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ০০:১০ | আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:১৫
ঢাকা: ২০২৪ সালে প্রতিদিন গড়ে ৪ লাখ ৬৭ হাজার ক্ষতিকর ফাইল শনাক্ত করেছে গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কি’র ডিটেকশন সিস্টেম। ২০২৩ সালের তুলনায় এই হার ১৪ শতাংশেরও বেশি। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কিছু নির্দিষ্ট ধরনের সাইবার হুমকি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এর মধ্যে ট্রোজান শনাক্তকরণের হার ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই তথ্যগুলো ক্যাসপারস্কি সিকিউরিটি বুলেটিন (কেএসবি) থেকে পাওয়া গিয়েছে। প্রতিবছরের মতো এবছরও ক্যাসপারস্কি তাদের বার্ষিক রিপোর্টে সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ঘটে যাওয়া প্রধান পরিবর্তনগুলো বিশ্লেষণ করেছে।
সাইবার আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য উইন্ডোজ প্ল্যাটফর্ম, ডেইলি ৯৩ শতাংশ ম্যালওয়্যার এখানে শনাক্ত হয়েছে। ক্যাসপারস্কির তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে উইন্ডোজে ম্যালওয়্যার আক্রমণ ১৯ শতাংশ বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ট্রোজান ম্যালওয়্যারের সংখ্যা ৩৩ শতাংশ বেড়েছে, আর ট্রোজান-ড্রপার্স ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। ট্রোজান-ড্রপার্স এমন একটি ক্ষতিকর সফটওয়্যার, যা স্ক্রিপ্ট বা এমএস অফিস ডকুমেন্টের মাধ্যমে অন্য ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে দেয়।
ক্যাসপারস্কির অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার রিসার্চ প্রধান ভ্লাদিমির কুসকভ বলেন, ‘প্রতিবছর সাইবার অপরাধীরা নতুন ম্যালওয়্যার, কৌশল এবং আক্রমণের পদ্ধতি তৈরি করে সাইবার হামলার পরিধি বাড়িয়ে তুলছে। এ বছরও আমরা কিছু বিপজ্জনক প্রবণতা লক্ষ্য করেছি, যেমন- বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক (ট্রাস্টটেড রিলেশনশিপ) এবং সাপ্লাই চেইনের ওপর আক্রমণ। এমনকি ওপেন সোর্স প্যাকেজেও হামলা হয়েছে (যেমন XZ কেস)। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করে ব্যাপক ফিশিং এবং ব্যাংকিং ম্যালওয়্যার বেড়েছে। এতে ব্যবহৃত হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। ক্যাসপারস্কির বিশেষজ্ঞরা নতুন ও জটিল সাইবার হুমকির মোকাবিলায় সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এই তথ্যগুলো জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ক্যাসপারস্কির শনাক্ত করা ম্যালিশিয়াস ফাইলের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। সাইবার সিকিউরিটি জগতের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ও প্রবণতা নিয়ে বার্ষিক পূর্বাভাস ও বিশ্লেষণী রিপোর্ট প্রকাশ করা ক্যাসপারস্কি সিকিউরিটি বুলেটিন (কেএসবি) এসব তথ্য দিয়েছে।
সাইবার আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকতে, আনট্রাস্টেড সোর্স থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করা, সন্দেহজনক লিঙ্কে ক্লিক করা এবং নিরাপত্তা সফটওয়্যার বন্ধ করা এড়িয়ে চলতে হবে। টু-ফ্যাক্টর সিকিউরিটি এবং শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট দ্রুত ইনস্টল করতে হবে এবং ক্যাসপারস্কি প্রিমিয়াম’এর মতো সিকিউরিটি সলিউশন ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের সফটওয়্যার আপডেট রাখতে হবে, রিমোট ডেস্কটপ সার্ভিসে পাবলিক এক্সেস সীমিত করতে হবে (যেমন- আরডিপি) এবং শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। ক্যাসপারস্কি নেক্সট ইডিআর এক্সপার্ট-এর মতো সলিউশন এন্ডপয়েন্ট ভিজিবিলিটি দেয়, ইডিআর কাজ স্বয়ংক্রিয় করে এবং উন্নত হুমকি প্রতিরোধ করে। থ্রেট ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে হামলাকারীদের কৌশল সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে, নিয়মিত ডেটার ব্যাকআপ রাখতে হবে ও ব্যাকআপ ডাটা নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা এবং জরুরি অবস্থায় দ্রুত ডাটা পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম