গণমাধ্যমে কালো টাকার প্রভাব কমাতে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের তাগিদ
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:৪২ | আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:৫৩
ঢাকা: গণমাধ্যমে কালোটাকার প্রভাব কিভাবে পড়ছে, তা বিবেচনায় না নিলে স্বাধীন সাংবাদিকতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ। গণমাধ্যমে বিনিয়োগকারীর স্বার্থের কারণে সম্পাদকীয় স্বাধীনতা সংকুচিত হওয়ার যে বাস্তবতা তার নিরিখে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন ও গণমাধ্যম বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্য ভবনে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ লিগ্যাল সার্ভিসেস এন্ড ট্রাষ্ট এর নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন বলেন, স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে আইনগত বাধার আলোচনা সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৯-এ যে সব যৌক্তিক সীমাবদ্ধকতার কথা বলা হয়েছে, সেখান থেকেই শুরু হওয়া উচিত। এসব সীমারেখা সমস্যাপূর্ণ।
তিনি মানহানির সংঙ্গায় ঔপনিবেশিক আমলের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই আইনের ফৌজদারি দায় রহিত করা উচিত। সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ না হলে তৃতীয় পক্ষের মামলা করার সুযোগও থাকা উচিত নয়, যা বিগত সরকারের আমলে অহরহ ঘটেছে। সামাজিক গণমাধ্যমের বিষয়টিও কমিশনের পর্যালোচনা করা উচিত বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।
ডিজিটাল রাইটস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিরাজ আহমেদ চৌধুরী বলেন, মানুষের ধারণা মিডিয়া নিউজ সেন্সর করে, তাই মিডিয়ার নিজের সংস্কার করা জরুরি। কারণ সরকারি হস্তক্ষেপের বাইরেও যে সব কারণে নিউজ সেন্সর করা হয়, তার মধ্যে মালিকের স্বার্থে হস্তক্ষেপও উপেক্ষণীয় নয়। গণমাধ্যমের মালিকানা বিষয়ে নীতিমালা পর্যালোচনা করা দরকার। গণমাধ্যমকে আর্থিকভাবে টেকসই করার বিষয়টিতেও নজর দেওয়ার উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।
বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির উপপরিচালক নিঘাত সীমা বলেছেন, বিজ্ঞাপনের মান নির্ধারণের বিষয়েও নীতিমালা থাকা প্রয়োজন। সাংবাদিকতার নীতিমালায় ভুক্তভোগীর ব্যক্তিগত পোগনীয়তার সুরক্ষার বিষয় থাকা দরকার।
এছাড়া সভায় মিডিয়া রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ-এর প্রতিনিধি সৈয়দ সামসুল বাসার অনিক, মানবাধিকার সাংস্কৃতি ফাউন্ডেশন এর প্রতিনিধি নুরুন্নবী শান্ত ও বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের আইশা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
কমিশন সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, শামসুল হক জাহিদ, জনাব আখতার হোসেন খান, বেগম কামরুন্নেসা হাসান, জিমি আমির, মোস্তফা সবুজ, জনাব টিটু দত্ত গুপ্ত ও আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সারাবাংলা/জেআর/এনজে