সকালে শিবিরের সম্মেলন, বিকেলে বৈষম্যবিরোধীর ‘মার্চ ফর ইউনিটি’
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:৪৯ | আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:০০
ঢাকা: রাজধানীতে একইদিন পৃথক কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। এর মধ্যে অরাজনৈতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আওয়ামী সরকার পতন আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) শুরু হয়েছে। সকাল ৮টায় রাজধানীর শহিদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে দলটির সারাদেশের সদস্যরা তাদের কেন্দ্রীয় নেতা নির্বাচন করবেন।
অন্যদিকে এদিন বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি পালন করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
পূর্ব ঘোষিত জুলাই প্রক্লেমেশন বা জুলাই ঘোষণার পরিবর্তে আজ ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি পালন করবেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টা ৪০মিনিটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ ঘোষণা দেন সংগঠনটির সদস্য সচিব আরিফ সোহেল।
আরিফ সোহেল বলেন, জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আবির্ভূত জন-আকাঙ্ক্ষা তথা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত কায়েমের প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ এক ঐতিহাসিক পটভূমিতে আবির্ভূত হয়েছে। হাজারও শহিদ ও আহত যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি ও জন-আকাঙ্ক্ষার দলিল স্বরূপ ‘জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র’ অত্যাবশ্যক ছিল। এ ঘোষণাপত্র প্রণয়নের ঐতিহাসিক দায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর বর্তায়। নানান প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার পক্ষে এই ঐতিহাসিক ঘোষণাপত্র প্রণয়ন ও ঘোষণার দায়িত্ব নিয়েছিল।
তিনি বলেন, আমাদের উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের আপামর ছাত্র-জনতার মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত ও ইতিবাচক সাড়া সঞ্চারিত হয়েছে। এ অবস্থায় ছাত্র-জনতার আহ্বানে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছাত্র-জনতা এই সময়পোযোগী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছে।
সারাবাংলা/ইউজে/এমপি
আন্দোলন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মার্চ ফর ইউনিটি