বছর জুড়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব ছিল আলোচনায়
২ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:০৫ | আপডেট: ২ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:০৫
রাজশাহী: বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে বইতে শুরু করেছে নতুন বছরের বাতাস। সদ্য বিদায় নেওয়া ২০২৪ সাল জুড়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটেছে নানা ঘটনা, জন্ম দিয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর দেখা দিয়েছে দেশের ভিন্ন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। এই গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ও। একনজরে দেখে নেওয়া যাক বিদায় নেওয়া বছরটিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচিত কিছু ঘটনা।
রাবি ছাত্রলীগের সাম্রাজ্য ও পতন
প্রায় অর্ধযুগ পর ২০২৩ সালের ২১ অক্টোবর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধ ঘোষিত) নতুন কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুকে সভাপতি ও আসাদুল্লা-হিল-গালিবকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়। এর আগে, ১৮ সেপ্টেম্বর রাবি ছাত্রলীগের ২৬তম বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের শেষ পর্যায়ে রাবি ছাত্রলীগের ২৫তম কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
কমিটি গঠনের শুরু থেকেই চাঁদাবাজি, সিট বাণিজ্য, শিক্ষার্থীদের হল থেকে নামিয়ে দেওয়া, হলে গেস্টরুম কালচার ইত্যাদিতে জড়িয়ে পড়তে থাকে রাবি শাখা ছাত্রলীগের নাম। গত ১৫ মার্চ রাবি শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে হোটেল ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠে। চাঁদাবাজির সময়কার কথপোকথনের একটি অডিও রেকর্ড সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
এর আগে ৭ মার্চ ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ ওঠে শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে। দোকানিদের অভিযোগ, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তার নামে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা চাঁদা আদায় করেন।
৩১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ শামসুজ্জোহা হলের ৩২৬ নম্বর কক্ষ থেকে মাহতাব উদ্দিন নামে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীকে সিট থেকে নামিয়ে দেন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোমিন ইসলামসহ কিছু নেতাকর্মী।
এর আগে ১৯ মে গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের ৪০২ নম্বর কক্ষ থেকে কুদ্দুস আলী নামের মার্কেটিং বিভাগের এক ছাত্রকে বের দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এমন আরও অভিযোগ আছে সদ্য নিষিদ্ধ রাবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
এ ছাড়া ১২ মে গেস্ট রুমে বসাকে কেন্দ্র করে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নেতাকর্মী হতাহতের পাশাপাশি দুটি বাইক ভাঙচুর হয়। এর তিন দিন পর ১৫ মে ছাত্রলীগের সহসভাপতি শাহিনুল ইসলাম সরকার ডন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ ও আশিকুর রহমান অপু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক কাবিরুজ্জামান রুহুলসহ চার নেতাকে কেন্দ্র থেকে বিবৃতি দিয়ে বহিষ্কার করা হয়।
সর্বশেষ ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনরত বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া খেয়ে ক্যাম্পাস থেকে পালিয়েছেন রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবসহ কয়েকজন নেতা। অন্যদিকে বিক্ষোভ চলাকালে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাদে অবস্থান করছিলেন। পরে পুলিশের সহযোগিতায় ক্যাম্পাস থেকে বের হন তিনি।
সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি হামলা ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের রাবি শাখার সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব এবং সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুসহ ছয় নেতার ছাত্রত্ব বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানের সময় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে হামলায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার কারণে বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাসে এসে পুলিশে সোপর্দ হয়েছেন কয়েকজন নেতাকর্মী।
ক্যাম্পাসে মাদক সেবন: মারামারি, আহত
ক্যাম্পাসে গাঁজা সেবন অনেক সহজ বিষয় হয়ে উঠেছে। গাঁজা সেবনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ঘটনা ঘটে। গত ১৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে গাঁজা সেবনে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে তিন বিভাগের তিন শিক্ষার্থী আহত হন।
এ ছাড়া কিছুদিন আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হলের ১৪৩ নম্বর কক্ষে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীসহ তিনজনকে আটক করেছে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান।
চুরির যত ঘটনা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চুরির ঘটনা অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে গেছে। গত জানুয়ারিতে পরিবহণ মার্কেটে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটছে। এ নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিলেও মেলেনি প্রতিকার।
সবশেষ গত ১ ফেব্রুয়ারি দুটি দোকানের হুক কেটে নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোন চুরির ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না দিতে পারায় এমনটি ঘটছে বলে অভিযোগ দোকানিদের।
সার্বজনীন পেনশন প্রত্যয় স্কিম: শিক্ষক সমিতির আন্দোলন
মে থেকে জুন মাস সর্বজনীন পেনশন প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এ দাবিতে ক্লাস বর্জন করে অর্ধদিবস পালন করেন শিক্ষকেরা। পরে সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে বিরূপ মন্তব্য এলে ১ জুলাই থেকে অন্তত ১০ দিন লাগাতার সর্বাত্মক কর্মবিরতি অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস পরীক্ষা সম্পূর্ণ স্থগিত থাকে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আয়োজনে এই কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকেরা।
কোটা সংস্কার আন্দোলন: জুন, জুলাই, আগস্ট
গত বছরের ৬ জুন প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি পালন শুরু করেন। দফায় দফায় মানববন্ধন ও ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
১১ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে রাজশাহীতে রেললাইন অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে রাজশাহীর সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ সাময়িক ব্যাহত হয়।
১৪ জুলাই ৯ কিলোমিটার পদযাত্রা করে রাষ্ট্রপতি বরাবর দেওয়া স্মারকলিপি রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের হাতে তুলে দেন আন্দোলনকারীরা।
তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে আসা বক্তব্যের প্রতিবাদে ১৪ জুলাই দিবাগত রাত ১টায় ক্যাম্পাসের জোহা চত্বরে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার, কে বলেছে কে বলেছে, স্বৈরাচার স্বৈরাচার’ স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস।
১৫ জুলাই মুক্তিযোদ্ধা কোটা সুবিধা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যের প্রতিবাদে একযোগে বিক্ষোভ মিছিল করেন রাবি ও রুয়েটের শিক্ষার্থীরা।
১৬ জুলাই কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনরত প্রায় ১৫ হাজার বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া খেয়ে ক্যাম্পাস থেকে পালিয়য়ে যান রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবসহ কয়েকজন নেতা। অন্যদিকে বিক্ষোভ চলাকালে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাদে অবস্থান করেছিলেন। পরে পুলিশের সহযোগিতায় ক্যাম্পাস থেকে বের হন তিনি।
১৭ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্যসহ ৩৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অবরুদ্ধ করে প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির অভিযানে প্রায় ৯ ঘণ্টা পর তাদের উদ্ধার করা হয়। ৪৫ মিনিটের এ সমন্বিত এই অভিযানে আউটার সার্কেলে পুলিশ টিয়ারশেল এবং ফাঁকা রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। র্যাব-বিজিবির মূল দল অ্যাডমিন বিল্ডিংয়ে প্রবেশ করে উপাচার্যসহ ৩৫ জনকে নিরাপদে অ্যাডমিন বিল্ডিং থেকে বের করে তাদের বাসভবনে পৌঁছে দেয়।
৩১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে আটক শিক্ষার্থীদের ছাড়িয়ে নিতে থানায় অবস্থান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক।
১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে জোহা চত্বরে শিক্ষকদের ‘ছাত্র-জনতার খুনিদের প্রতিহত করুন’ শিরোনামে মৌন মিছিল চলাকালে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে চ্যাংদোলা করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ডিবি পুলিশ। পরে আন্দোলনরত শিক্ষকরা তাদের ছাড়িয়ে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন। এ সময় এক সাংবাদিককে মারধর ও আরেক সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার ঘটনাও ঘটে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেঁধে দেওয়া সময়ে রাবি প্রশাসনের পদত্যাগ
৮ আগস্ট উপাচার্যসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আলটিমেটামের পর উপাচার্য, ছাত্র উপদেষ্টা, প্রক্টরসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পদত্যাগ করেন। পরে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে উপাচার্যসহ প্রায় ৯০ জন প্রশাসক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন। এতে স্থবির হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম।
উপাচার্যসহ প্রশাসনে নতুন নিয়োগ
৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব। ৬ সেপ্টেম্বর ছাত্র উপদেষ্টা হিসেবে আমিরুল ইসলাম কনক ও জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক হিসেবে আখতার হোসেন মজুমদারকে নিয়োগ নিয়োগ দেওয়া হয়।
৮ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানকে প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এবং ২২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন দুই উপউপাচার্য অধ্যাপক মো. মাইন উদ্দিন (প্রশাসন) ও অধ্যাপক মো. ফরিদ উদ্দিন খান (শিক্ষা) এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মতিয়ার রহমানকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
যৌন হয়রানি ও দুর্নীতির অভিযোগ, বেশকিছু শিক্ষককে অব্যাহতি
৫ আগস্টের পরে যৌন হয়রানি ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বেশকিছু শিক্ষকের বিরুদ্ধে আন্দোলন নামেন শিক্ষার্থীরা। প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ, আইন বিভাগের শিক্ষক সাদিকুল ইসলাম সাগর, চারুকলা অনুষদের শিক্ষক সুজন সেন, সুভাষ চন্দ্র সুতার ও মনির হোসেনসহ অনেককে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়।
পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবি জানিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ১০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোড়ের পাশে পোষ্য কোটার প্রতীকী কবর দেন শিক্ষার্থীরা। সবশেষ শরীরের রক্ত দিয়ে ব্যানার লিখে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবি জানান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
নতুন বছরের প্রথম দিনে অবশ্য শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য বাতিল করে সহায়ক ও কর্মচারীদের জন্য ১ শতাংশ পোষ্য কোটা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রাবি প্রশাসন। বুধবার রাতেই শিক্ষার্থীরা এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে পোষ্য কোটা সম্পূর্ণ বাতিল দাবি চেয়েছে।
সারাবাংলা/ইআ/টিআর
কোটা সংস্কার আন্দোলন পোষ্য কোটা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রাবি সালতামামি