Saturday 04 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রাম বন্দর
আয় বেড়েছে ২১ শতাংশ, জমাও বাড়ল ৮০৬ কোটি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৪০ | আপডেট: ১ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪২

চট্টগ্রাম বন্দর। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বিদায়ী বছর ২০২৪ সালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আগের বছরের চেয়ে ২১ শতাংশ বেশি রাজস্ব আয় করেছে। তহবিলেও জমা করেছে আগের বছরের চেয়ে অন্তত ৩৭ শতাংশ বেশি। যার পরিমাণ ৮৯১ কোটি টাকা। এছাড়া বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের ব্যয় ৪ শতাংশ কমাতে সক্ষম হয়েছে।

নতুন বছরের প্রথমদিনে বুধবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান এনসিটি ইয়ার্ডে সাংবাদিকদের কাছে এক বছরের অগ্রগতি তুলে ধরেন।

বিজ্ঞাপন

বন্দর চেয়ারম্যানের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালে বন্দরের রাজস্ব আয় হয়েছে ৫ হাজার ৫৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। গতবছর রাজস্ব আয় হয়েছিল ৪ হাজার ১৬৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা। বাড়তি আয় ৮৯০ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আগের বছরের চেয়ে আয়ে প্রবৃদ্ধি ২১ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

২০২৪ সালে বন্দর রাজস্ব ব্যয় করেছে ২ হাজার ১০৭ কোটি ২ হাজার টাকা। যা আগের বছরের চেয়ে ৮৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা কম। গতবছর বন্দর ব্যয় করেছিল ২ হাজার ২২ কোটি ৮ হাজার টাকা। এ বছর ব্যয় গতবছরের চেয়ে ৪ দশমিক ২ শতাংশ কম।

বন্দরের তহবিলে জমা পড়েছে ২ হাজার ৯৪৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। গতবছর জমা ছিল ২ হাজার ১৪৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। উদ্ধৃত্তের পরিমাণ ৮০৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা বেশি। গতবছরের চেয়ে এবার ৩৭ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি উদ্ধৃত্ত হয়েছে।

বন্দর চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বন্দরকে আরও কীভাবে গতিশীল করা যায়, আমরা সেই চেষ্টা করছি। এ বছর রাজস্ব আয় বেশি হয়েছে, ব্যয়ও হয়েছে কম। আমাদের লক্ষ্য আগামীতে কনটেইনার হ্যান্ডলিং ২ থেকে ৩ মিলিয়ন টিইইউস বাড়ানো। এজন্য আমরা কাজ করছি।’

বন্দর কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩২ লাখ ৭৫ হাজার ৬২৭ টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে। ১২ কোটি ৩৯ লাখ ৮৬ হাজার ১৪ মেট্রিকটন কার্গো (পণ্য) হ্যান্ডলিং করেছে। আগের বছরের তুলনায় কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে ৩ দশমিক ১১শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

২০২৪ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ এসেছে ৩ হাজার ৮৬৭টি। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে গত পাঁচ মাসে বন্দরে জাহাজের অপেক্ষার সময় একদিনে নেমে এসেছে। অথচ ছয়মাস আগেও একটি জাহাজকে বন্দরে এসে পণ্য খালাস বা বোঝাইয়ের জন্য ৫-৬দিন পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হতো।

বন্দরের এ অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে যে রেকর্ড, এটা কিন্তু অতীতে কখনো হয়নি। এটি একটি বিশাল অর্জন। গত বছরের আগস্টে জাহাজের অপেক্ষমাণ সময় ছয় থেকে আট দিন পর্যন্ত ছিল, সেটা আমরা একদিনে নামিয়ে আনতে পেরেছি। এখন জাহাজ সরাসরি বন্দরে চলে আসতে পারছে, যা বন্দরের ইতিহাসে আগে কখনো ঘটেনি।’

চেয়ারম্যান আরও জানান, বন্দরের ভেতরে কনটেইনার খুলে পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনতে চায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। কনটেইনার জাহাজ থেকে নামার পর সরাসরি বন্দরের বাইরে অফডকে নিয়ে ডেলিভারির অনুমতি দেওয়ার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এ প্রস্তাব অনুমোদন হলে বন্দরের প্রায় এক মিলিয়ন টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বাড়বে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ তথ্য দিয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে ১৪-১৫ বছর ধরে পড়ে থাকা ১৫২ টিইইউস কনটেইনার অতিদাহ্য রাসায়নিক পণ্য ধ্বংসের অপেক্ষায় আছে। সেগুলো দ্রুততার সঙ্গে ধ্বংসের প্রক্রিয়া চলছে।

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

আয় চট্টগ্রাম বন্দর জমা টপ নিউজ হ্যান্ডেলিং

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর