জনপ্রশাসনের ব্যাখ্যা
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ ২২৭ জন
২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:৪৭ | আপডেট: ২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:৩৭
ঢাকা: গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশের কারণে ৪৩তম বিসিএস থেকে ২২৭ জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ৪৩ তম বিসিএস থেকে বাদ পড়াদের আন্দোলনের মুখে এই ব্যাখ্যা দিল সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. উজ্জল হোসেনের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন-পিএসসি সাময়িকভাবে ২ হাজার ১৬৩ জন প্রার্থীকে মনোনীত করে ২০২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সুপারিশ করে। বিসিএস রিক্রুটমেন্ট রুলস ১৯৮১ এর ধারা ৪ এর বিধান মোতাবেক বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ এবং সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে প্রার্থীদের প্রাক-চরিত্র যাচাই-বাছাই শেষে সুপারিশকৃত ২ হাজার ১৬৩ জন প্রার্থীর মধ্য থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জন এবং এজেন্সি রিপোর্ট বিবেচনায় সাময়িকভাবে ৫৯ জন মিলে ৯৯ জন বাদ দিয়ে বাকি অবশিষ্ট ২০৬৪ জন প্রার্থীর অনুকূলে গত বছরের ১৫ অক্টোবর নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, প্রজ্ঞাপন জারির পর বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এ নিয়োগের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এর প্রেক্ষিতে সকল সমালোচনার ঊর্ধ্বে থেকে ক্লিন ইমেজের প্রার্থী নির্ধারণে এবং সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য ৪৩তম বিসিএস’র সুপারিশকৃত ২ হাজার ১৬৩ জন প্রার্থীর বিষয়ে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা-এনএসআই এবং ডিজিএফআই’র মাধ্যমে প্রাক-চরিত্র পুনরায় অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, এনএসআই এবং ডিজিএফআই থেকে ২ হাজার ১৬৩ জন প্রার্থীর উপযুক্ততা/অনুপযুক্ততা বিষয়ে প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদন অনুযায়ী ২২৭ জন প্রার্থীর প্রাক-চরিত্র বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য (আপত্তি/অসুপারিশকৃত) পাওয়া যায়। ২২৭ জন প্রার্থীর বিষয়ে বিরূপ মন্তব্যের কারণে সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনা করা হয় এবং তাদের বিষয়ে অধিকতর যাচাই-বাছাই ও খোঁজখবর নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সেইসঙ্গে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জনকে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনা করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, সুপারিশকৃত ২ হাজার ১৬৩ জন প্রার্থীর মধ্য থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জন এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন বিবেচনায় সাময়িকভাবে অনুপযুক্ত ২২৭ জনসহ মোট ২৬৭ জন বাদ দিয়ে বাকি ১ হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থীর অনুকূলে গত ৩০ ডিসেম্বর নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত ২২৭ জনের মধ্যে যে কেউ পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। এই আবেদনের সুযোগ সকলের জন্য উন্মুক্ত বলেও জানানো হয়েছে।
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম