জাতিসংঘ পার্ক এখন ‘জুলাই স্মৃতি উদ্যান’, উদ্বোধন শুক্রবার
২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:০০ | আপডেট: ২ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:০৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে সংস্কারের পর নতুনরূপে উন্মুক্ত হচ্ছে প্রায় ৬০ বছর বয়সী ‘জাতিসংঘ পার্ক’। তবে পার্কটির নাম বদলে যাচ্ছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি জাগরুক রাখতে সরকারি সিদ্ধান্তে পার্কটির নতুন নাম হচ্ছে ‘জুলাই স্মৃতি উদ্যান’।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় নগরীর পাঁচলাইশে ‘জুলাই স্মৃতি উদ্যানের’ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
গণপূর্ত অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের (সার্কেল–১) নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান খান সারাবাংলাকে বলেন, ‘পার্কটির সংস্কারকাজ তিন মাস আগেই শেষ হয়েছে। কাল (শুক্রবার) উপদেষ্টা মহোদয়ের উদ্বোধনের পর সেটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। পার্কের নাম বদলে জুলাই স্মৃতি উদ্যান করার জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উদ্বোধনের আগেই সেখানে নতুন সাইনবোর্ড টানানো হবে।’
জানা গেছে, নগরীর পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় ১৯৬৪ সালে ২ দশমিক ১৭ একর জমিতে পার্কটি নির্মাণ করা হয়। তৎকালীন গণপূর্ত মন্ত্রণালয় পার্কটি তৎকালীন চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করেছিল। ২০০২ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক প্রস্তাব অনুসারে এর নামকরণ করা হয় ‘জাতিসংঘ পার্ক’।
২০১২ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ওই পার্কে সুইমিং পুল নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করে। পার্কে নিয়মিত যাতায়াতকারী জনসাধারণ এতে বিরক্তি প্রকাশ করেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত বিভাগও এর বিরোধিতা করে। এ নিয়ে টানাপড়েনে তখন থেকেই কার্যত পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল পার্কটি।
২০১৭ সালে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় পার্কটির উন্নয়নে ‘পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন জাতিসংঘ সবুজ উদ্যান উন্নয়ন’ নামে একটি প্রকল্প নেয়। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১১ কোটি ৭০ লাখ ১২ হাজার টাকা, পরবর্তীতে যা বেড়ে ১২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা হয়। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।
নতুন করে নির্মিত পার্কটিতে সবুজকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এছাড়াও আছে দৃষ্টিনন্দন সীমানা প্রাচীর ও প্রবেশপথ। দীর্ঘ ওয়াকওয়ে, বসার সিট, শিশুদের জন্য খেলাধুলা এবং শরীরচর্চার জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম