বিলবোর্ড-সৌন্দর্যবর্ধনের সব চুক্তি বাতিলের নির্দেশ চসিক মেয়রের
২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:২৪ | আপডেট: ২ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৩৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: নগর উন্নয়নের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরের আয়ের এক শতাংশ হারে ‘মাশুল’ পাওয়ার ক্ষেত্রে ‘আশার আলো’ দেখছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। একইসঙ্গে মেয়র নগরীতে সব বিলবোর্ড ও সৌন্দর্যবর্ধনের চুক্তি বাতিলের নির্দেশনা দেন।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে নগরীর টাইগারপাসে অস্থায়ী নগর ভবনে চসিকের কার্যক্রম পরিচালনায় স্থানীয় সরকার বিভাগের গঠিত কমিটির সঙ্গে বৈঠকে মেয়র এসব বিষয়ে কথা বলেছেন।
সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমরা বন্দর থেকে যে এক শতাংশ হারে মাসুল চেয়েছি, সেটা পজিটিভলি আগাচ্ছে। আরেকটি সুখবর হচ্ছে- এখন বন্দরের দুজন ভদ্রলোক ফিন্যান্সের যারা দায়িত্বে আছেন, তারা আমাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। বন্দর থেকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন যে হোল্ডিং ট্যাক্স পায় সেটা বাণিজ্যিক হারে পাওয়ার আশ্বাস পেয়েছি। সম্ভবত সেটা ১৬২ কোটি টাকা বাৎসরিক হবে।’
‘ওই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তারা দু’জন এসেছেন, আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। আমি বন্দরের চেয়ারম্যান সাহেবের সাথেও কথা বলেছি। উনিও পজিটিভ আছেন। সচিব মহোদয় পজিটিভ আছেন। আমার মনে হয়, এটা যদি হয়ে যায় আল্লাহ রহমতে আমরা একটা ভালো অ্যামাউন্ট আশা করি পাব। এজন্য বলছি আমরা একটা পজিটিভ ফ্রেম অব মাইন্ড নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।’
চসিককে স্বাবলম্বী করতে সবার সহযোগিতা চেয়ে মেয়র বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি যে, সিটি করপোরেশনকে একটা আয়বর্ধক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে। এটা হলে নাগরিকদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আরও বেশি সেবা দিতে পারব আমরা। আমাদের সবাইকে সেজন্য পজিটিভ মাইন্ড নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের সবাইকে অ্যাকটিভ হতে হবে, ডায়নামিক হতে হবে। আমাদের সবার জায়গা থেকে একাজে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করতে হবে।’
দুর্নীতি কমানোর তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির কারণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সঠিক রেভিনিউ পাচ্ছে না। আর্থিক সংকটে সেবামূলক কার্যক্রমগুলো চালাতে আমরা খুব বাধাগ্রস্ত হচ্ছি। চসিকের শপিং কমপ্লেক্সে, মার্কেটে যাদের আমরা ভাড়া দিয়েছি, যাদের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে, সেই চুক্তির যেখানে বরখেলাপ হয়েছে, যদি চুক্তিতে থাকে যার নামে দোকান বরাদ্দ তাকেই ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে, কিন্তু সে যদি আরেকজনকে ভাড়া দিয়ে থাকে তাহলে এ ধরনের চুক্তিগুলো নতুন করে অথবা এ চুক্তিগুলো আমরা বাতিল করতে পারি।’
চসিকের বিলবোর্ডের চুক্তি বাতিলের নির্দেশনা দিয়ে মেয়র বলেন, ‘যত বিলবোর্ড আছে সমস্ত বিলবোর্ডের চুক্তি বাতিল করে দিন। আমরা অনিয়মের কারণে অসম্ভব বেশি ট্যাক্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। সেন্ট্রাল প্লাজাতে সাতটা বিলবোর্ড দেওয়া হয়েছে। সাতটা বিলবোর্ডে তারা বছরে চার-পাঁচ কোটি টাকা ইনকাম করছে। কিন্তু আমরা পাচ্ছি বছরে মাত্র ২১ লাখ টাকা। আমার মনে হয়, এসব ব্যাপার নিয়ে আমাদের খুব স্ট্রিক্টলি এগোতে হবে। আমরা সমস্ত বিলবোর্ড এবং সমস্ত সৌন্দর্যবর্ধনের চুক্তি বাতিল করে নতুনভাবে নতুন বছরে এগুলো এগিয়ে নিয়ে যাব।’
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে চসিক ফেরত পাচ্ছে বলেও জানান মেয়র শাহাদাত হোসেন।
সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিনসহ চসিকের বিভাগীয় ও শাখা প্রধান এবং নগরীর বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম