মাসজুড়ে গোলাপ-চন্দ্রমল্লিকার উৎসব, শনিবার খুলছে দ্বার
২ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:০৯ | আপডেট: ২ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:২১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চারপাশে ফুল আর ফুল। এ যেন ফুলের রাজ্য! গোলাপ, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা- কী নেই এ রাজ্যে! বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে নানা নকশায় শোভা পাচ্ছে এসব ফুল। ১৩৬ প্রজাতির লাখো ফুলের গাছ দিয়ে এভাবেই সেজেছে চট্টগ্রামের ‘ডিসি পার্ক’।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়নের ডিসি পার্কে তৃতীয়বারের মতো শুরু হতে যাচ্ছে ফুল উৎসব। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এ উৎসবের আয়োজক।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম উৎসব প্রাঙ্গনে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, মাসব্যাপী এ ফুল উৎসবের উদ্বোধন করবেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশীদ। উপস্থিত থাকবেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীন।
জেলা প্রশাসক জানান, গতবছর এ ফুল উৎসবে ৯ লাখ দর্শনার্থীর সমাগম ঘটেছিল। এবার ১২ লাখের মতো দর্শনার্থী সমাগম হওয়ার আশা করছে জেলা প্রশাসন। কাউন্টারের বাইরে দর্শনার্থীরা অনলাইনেও টিকিট কেটে ফুল উৎসবে যেতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে উৎসবস্থলে গিয়ে দেখা যায় নানা প্রজাতির, রঙে-গন্ধে বাহারি ফুলের সমাহার। বাগানের ভেতর আছে জলাশয়। সেই জলাশয়ে থাকছে পানিতে ভাসানো বাগান।
ফুল উৎসবে গাছ সরবরাহের দায়িত্ব পেয়েছে ইফা ল্যান্ডস্ক্যাপ গার্ডেন ডিজাইন অ্যান্ড অ্যাগ্রো ফার্মা। প্রতিষ্ঠানটির স্বর্তাধিকারী কাউসার আল ইমরান জানিয়েছেন, দেড় মাস ধরে ফুল উৎসবের প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যে ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। চট্টগ্রাম ছাড়াও যশোর, রংপুর, ঢাকা, দিনাজপুর, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফুল গাছ আনা হয়েছে।
এবারের উৎসবে স্থান পাচ্ছে বেশিরভাগই বিদেশি প্রজাতির শীতকালীন ফুল। সেখানে আছে ২৫ ধরনের গোলাপ, স্টক, গেজানিয়া, ক্যামেলিয়া, হলিহক, স্নোবক, নেসটিয়াম, লিলিয়াম, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকার মতো ফুল। এ ছাড়া টিউলিপও আনা হবে বলে জানালেন কাউসার আল ইমরান।
ফুল উৎসবে থাকছে মাসব্যাপী সাংস্কৃতিক আয়োজনও। অনুষ্ঠানের মধ্যে আছে— মাল্টি কালচারাল ফেস্টিভ্যাল, মাসব্যাপী গ্রামীণমেলা, বই উৎসব, ঘুড়ি উৎসব, ফুলের সাজে একদিন, পিঠাউৎসব, লেজার লাইট শো, ভিআর গেইম, মুভি শো, ভায়োলিন শো, পুতুল নাচ।
২০২৩ সালে সীতাকুণ্ড উপজেলার উত্তর ছলিমপুর মৌজায় দখলদার উচ্ছেদ করে ১৯৪ একর খাস জমি উদ্ধার করে জেলা প্রশাসন। এরপর সেখানে গড়ে তোলা হয় ‘ডিসি পার্ক’। উচ্ছেদের এক মাসের মাথায় প্রথমবারের মতো সাত দিনব্যাপী ফুল উৎসবের আয়োজন করেছিল জেলা প্রশাসন। এতে ব্যাপক সাড়া পেয়ে পরেরবছরও একই আয়োজন করা হয়।
সারাবাংলা/আরডি/ এইচআই