তিন পার্বত্য জেলার অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:৪৮ | আপডেট: ৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:৩৪
ঢাকা: পার্বত্য তিন জেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠা অবৈধ ইটভাটাগুলো কার্যক্রম যাতে শুরু না করতে পারে, সে বিষয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসকদের এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
রোববার (৫ জানুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী সঞ্জয় মন্ডল, আইনজীবী এখলাস উদ্দিন ভূঁইয়া, আইনজীবী নাসরিন সুলতানা ও আইনজীবী সেলিম রেজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. তানিম খান।
আদালত আদেশে বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে তিন পার্বত্য জেলার ডিসিরা নিজ নিজ এলাকার অবৈধ ইটভাটার মালিকেরা যাতে তাদের কার্যক্রম শুরু না করতে পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে এবং উক্ত কার্যক্রম সম্পর্কে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবে।
পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, পার্বত্য তিন জেলার লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে ২০২২ সালে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) একটি রিট দায়ের করে।
এইচআরপিবির পক্ষে আবেদনকারী হলেন- আইনজীবী মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরীসহ দুই জন। রিটে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়সহ মোট ২৪ জনকে বিবাদী করা হয়।
উক্ত রিটের শুনানি শেষে আদালত বিবাদীদের প্রতি রুল জারি করে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে বিবাদীরা এখন পর্যন্ত যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ায় এবং আদালতে কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে কোনো প্রতিবেদন দাখিল না করায়, আজ আদালতে এইচআরপিবির পক্ষে আদালতে একটি আবেদন করা হয়।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে এপ্রিল ইট উৎপাদন ও ভাটা পরিচালনার মৌসুম। এই সময়ের মধ্যে সারাদেশে লাইসেন্সবিহীন অসংখ্য অবৈধ ইটভাটা তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে এবং করতে যাচ্ছে। যা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত হুমকিস্বরূপ।
অবৈধ ইট ভাটাগুলো যাতে তাদের কার্যক্রম শুরু করতে না পারে এ বিষয়ে আদালতে আবেদনটি করা হয়।
শুনানি শেষে আদালত এক সপ্তাহের মধ্যে তিন পার্বত্য জেলা প্রশাসক নিজ নিজ এলাকার অবৈধ ইটভাটার মালিকেরা যাতে তাদের কার্যক্রম শুরু না করতে পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে এবং উক্ত কার্যক্রম সম্পর্কে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবে। বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকদের তা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ