সংস্কারের কাজ চলছে সচিবালয়ে, ২ সপ্তাহ পর ব্যবহার উপযোগী হবে
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:১১ | আপডেট: ৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:৩৪
ঢাকা: সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগার কারণে পুড়ে যাওয়া চারটি ফ্লোর মেরামতের কাজ চলমান বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হামিদুর রহমান খান। কাজ শেষ করতে দুই সপ্তাহের মত সময় লেগে যাবে বলে জানান তিনি।
রোববার (৫ জানুয়ারি) বন্ধ থাকার ১১ দিন পর খুলে দেওয়া হয়েছে সচিবালয়। পুড়ে যাওয়া ফ্লোরগুলো বাদে বাকি ফ্লোরগুলোতে মন্ত্রণালয়গুলো তাদের নিয়মিত কার্যক্রম শুরু করেছে।
গত ২৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনটিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। টানা ৬ ঘণ্টা সময় লাগে আগুন নেভাতে এবং আরও চার ঘণ্টা লাগে আগুনের অস্তিত্ব শেষ করতে। আগুন লাগার পর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছিল না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সেই সঙ্গে উপদেষ্টা ও সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা ছাড়া কারো গাড়ী প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
সীমিত সংখ্যক সাংবাদিক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলেও বন্ধ ছিল অন্যান্য বেসরকারি দর্শনার্থী প্রবেশ। রোববার (৫ জানুয়ারি) গিয়ে দেখা গেছে ভবনটিতে সবাই প্রবেশ করতে পারছেন। এদিকে পুড়ে যাওয়া ভবনটি যেসকল ফ্লোর ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি সেসকল ভবনে কয়েকটি মন্ত্রণালয় আংশিক দাপ্তরিক কাজ শুরু করেছে।
গণপূর্ত সচিব মো. হামিদুর রহমান খান জানিয়েছেন, ভবনের পুড়ে যাওয়া উপরের চারটি ফ্লোরের মেরামতের কাজ হচ্ছে। আগামী দুই সপ্তাহ পর কাজ শুরু করা যাবে।
এদিকে কয়েকটি ফ্লোরে কাজ শুরু হলেও এখনো নিচের কয়েকটি ফ্লোর ধোঁয়া মোছার কাজ চলছে। ওপরের তলার আগুনের ছাই, ভাঙ্গা কাচ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এসব তলায়। বিদ্যুৎ সংযোগ, ইন্টারনেট সেবা সহ পানির লাইন সচল করার কাজ চলছে কয়েকটি কক্ষে।
আগুনে প্রায় শতভাগ পুড়ে গেছে শ্রম মন্ত্রনালয়ের সচিবের রুম। এই মন্ত্রণালয়ের নথিপত্রসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সেগুলো জানতে আলাদা দুটি কমিটি করা হয়েছে বলে জানান শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, পূর্নাঙ্গ প্রতিবেদন পাওয়ার পর জানা যাবে কোন মন্ত্রনালয়ের কতটা ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে আগুন লাগার ঘটনার চারদিন পর প্রাথমিক প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার প্রমান মিললেও পুর্নাঙ্গ তদন্তের জন্য সিঙ্গাপুর এবং ইন্দোনেশিয়া পাঠানো হয়েছে আলামত। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সেই প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর নজিরবিহীন এই ঘটনার সঠিক তথ্য জানা যাবে বলে মনে করছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
সারাবাংলা/জেআর/এমপি