শীতের সন্ধ্যায় ‘নীড়ে’র পিঠা উৎসব
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:৩১ | আপডেট: ৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:৫২
ঢাকা: দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই শুরু হয়ে যায় শীতের আমেজ। আর সেই শীতকে আরও উপভোগ্য করে তোলে যদি সামনে থাকে কোনো উৎসব। শীতকে কেন্দ্র করে এখন প্রতিটি পাড়া মহল্লাতেও আয়োজন করা হয় নানা উৎসব। এবার প্রথমবারের মতো রাজধানীর গোপীবাগে নীড় শপিং কমপ্লেক্সে আয়োজন করা হয়েছে পিঠা উৎসব।
রোববার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গিয়ে দেখা গেছে, নানা ধরনের পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। ভাপা ও চিতই পিঠা তো আছেই। চিতই পিঠার সঙ্গে পাওয়া যায় হরেকরকমের ভর্তা। সরিষা, ধনেপাতা, কালোজিরা ও শুটকি ভর্তাও রয়েছে। তবে বেশির ভাগই দেখা গেলো মিষ্টি জাতীয় পিঠা।
যারা মিস্টি জাতীয় পিঠা পছন্দ করেন তাদের জন্য রয়েছে পাটিসাপটা, মালপোয়া, ফুলপিঠা, দই চিতই, ডিমসাপটা, নারকেলি পিঠা, জামাইতোষণ, মুখ সুন্দরী, জামাইপিঠা, ঝিনুক পিঠা, দুধ চিতই, দুধ পাকান, ঝালপাপড়ি, ম্যারা পিঠা, নাইওরিসহ হরেকরকম পিঠা। রকমভেদে এসব পিঠা পাঁচ টাকা থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

‘নীড়ে’র পিঠা উৎসবে ভিড়। ছবি: সারাবাংলা।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রথমবারের মতো পিঠা উৎসবের আয়োজন করায় বেশ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। হয়তো কাল-পরশু আরও জমে উঠবে।
এদিকে ঘটা করে পিঠা-পুলির আয়োজন করার মতো সময় নেই নগরে বাস করা মানুষদের। তাই তারা নির্ভরশীল হয়ে ওঠে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও ফুটপাতের ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোর ওপর। সেখানে এমন আয়োজন পেলে তো কথাই নেই।
পিঠা খেতে আসা প্রিয়ঙ্কা হালদার বলেন, গোপীবাগে আসলে বড় কোনো আয়োজনের জায়গাও কম। এবার ‘নীড়ের’ এই আয়োজন বেশ ভাল লেগেছে। মার্কেটটির সামনে বেশ জায়গা। বাচ্চারা বেশি মজা পাচ্ছে।

পিঠা উৎসব। ছবি: সারাবাংলা।
ফখরুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন ’নীড়ে’ আসি বাচ্চাদের জন্য। মার্কেটের জায়গাটা বড় যে কারণে বাচ্চারা দৌড়াতে পারে। যদিও মার্কেটটি এতো দিনেও তেমন জমেনি। এবার পিঠা উতসবকে কেন্দ্র করে লোকজন আসছে।
নীড় শপিং কমপ্লেক্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন সারাবাংলাকে বলেন, মার্কেটটি জমজমাট করতেই পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। টেবিল বিছিয়ে স্টলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে অনেকেই পিঠা নিয়ে বসেছে। মেলাটি সাত দিন ধরে চলবে বলে জানান তিনি।

পিঠা উৎসব বাহারি চুড়ির দোকান। ছবি: সারাবাংলা।
এদিকে মেলা উপলক্ষে পুরো মার্কেটে করা হয়েছে আলোকসজ্জা। দেখতেই উৎসব উৎসব আমেজ চলে এসেছে। এলাকার বিভিন্ন গলি-মহল্লা থেকে লোকজন আসছেন, পিঠা কিনছেন। কেউ এখানেই খাচ্ছেন, আবার কেউ কিনে ঘরে ফিরছেন।
সারাবাংলা/জেআর/এসআর