লন্ডনে ৭ লাখ পাউন্ড দামে একটি ফ্ল্যাট উপহার হিসেবে পেয়েছেন এমন একটি খবর প্রকাশিত হওয়ার পর যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের চাপে পড়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক।
রোববার (৫ জানুয়ারি) লন্ডনভিত্তিক সংবামাধ্যম দ্য ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে টিউলিপ সিদ্দিক জানিয়েছেন, ফ্ল্যাটটি তার বাবা-মা তাকে কিনে দিয়েছেন। একই সঙ্গে দ্য মেইল অন সানডে পত্রিকার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন টিউলিপ।
এদিকে লেবার পার্টির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ফ্ল্যাটটি আসলে এক ডেভেলপার ‘কৃতজ্ঞতাস্বরূপ’ তাকে উপহার দিয়েছেন। ফ্ল্যাটটির মালিক ছিলেন বাংলাদেশি ডেভেলপার আব্দুল মোতালিফ। যিনি ২০০১ সালে এই ফ্ল্যাট কিনেছিলেন এবং পরে টিউলিপ সিদ্দিককে এটি হস্তান্তর করেন।
যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরা উপযুক্ত ব্যাখ্যা না দেওয়া পর্যন্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে টিউলিপকে সরে দাঁড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
এমপি বব ব্ল্যাকম্যানকে উদ্ধৃত করে উল্লেখ করা হয়, টিউলিপ সিদ্দিককে তার সম্পত্তির বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। তাকে প্রকৃত ঘটনা জানাতে হবে। যদি না করেন, তাহলে মন্ত্রী হিসেবে তিনি অগ্রহণযোগ্য।
আরেক এমপি ম্যাট ভিকারস জানিয়েছেন, সরকারের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ অগ্রহণযোগ্য। আর যখন কেউ স্টারমারের দুর্নীতি বিরোধী মন্ত্রী হন, তখন বিষয়টি আরও বেশি প্রশ্নবিদ্ধ।
এর আগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে উঠে আসা খবরে বলা হয়, ২০০৪ সালে লন্ডনের কিং’স ক্রস এলাকায় ২ বেডরুমের একটি ফ্ল্যাট টিউলিপ সিদ্দিককে উপহার দিয়েছিলেন আব্দুল মোতালিফ নামের এক ডেভেলপার। মোতালিফ ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্টজন ছিলেন।
৪২ বছর বয়সী টিউলিপ যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রাণালয়ের দুর্নীতি বিরোধী মন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন।