ফর্মে ফিরেও বাবরের আক্ষেপ
৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:২১
সাদা পোশাকে গত দুই বছরে তার ফর্মটা যাচ্ছেতাই। একের পর এক ইনিংসে ব্যাট হাতে ব্যর্থ বাবর আজমের ব্যাট অবশেষে হেসেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। কেপটাউনে একদিনেই দুটি হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপটাই পোড়াচ্ছে বাবরকে।
টেস্টে ১৯ ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পাননি বাবর। মাঝে দল থেকে বাদও পড়েছিলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে অবশেষে ফর্মে ফিরেছেন বাবর। তিন ইনিংসে তুলে নিয়েছেন ফিফটি। কেপটাউনে প্রথম ইনিংসে ৫৮ রানে ফিরেছিলেন বাবর। ফলো-অনে পড়া পাকিস্তানের হয়ে আবার ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন তিনি। তিন বছর পর নিজের প্রথম সেঞ্চুরির দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
তবে দিনের খেলার অল্প কিছু সময় বাকি থাকতে ৮১ রানেই ফিরেছেন বাবর। দিনের খেলা শেষে বাবর বলছেন, দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ পোড়াচ্ছে তাকে, ‘দুই ইনিংসেই আমি খুব হতাশ। ভালো একটা শুরু পেয়েছিলাম। কিন্তু শেষটা ভালো করতে পারিনি। বড় ইনিংস করতে হলে অবশ্যই লম্বা সময় ক্রিজে থাকতে হবে। দিনের মাত্র ১৫ মিনিটে বাকি থাকতে আউট হওয়াটা মেনে নেওয়া কঠিন।’
কেপটাউনের পিচে রান তোলা সহজ ছিল বলেই জানালেন বাবর, ‘এখানকার কন্ডিশন সেঞ্চুরিয়নের চেয়ে আলাদা। এখানে পিচ ব্যাটিং বান্ধব। নতুন বলে কিছুটা চ্যালেঞ্জ থাকলেও ক্রিজে সেট হয়ে গেলে জুটি গড়া অনেক সহজ হয়ে যায়। স্পিনাররা কিছুটা চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। কিন্তু ক্রিজে থিতু হলে স্বাভাবিক খেলাটাই খেলা যায়।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ থেকে তাকে বাদ দেওয়া নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। সেই বাবরই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান সিরিজে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। বাবর বলছেন, খারাপ সময় অনেক কিছু শিখিয়েছে তাকে, ‘জীবন সব সময় পরিবর্তিত হয়। খারাপ ফর্মে থাকার সময় অনেক কিছু শিখেছি। অনেক কিছুই আছে যা আমি করতে চেয়েও পারিনি। আমি শুধু নিজেকে শান্ত রাখতে চেয়েছিলাম। আমি বিশ্বাস করতাম, কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। খেলাটা উপভোগ করে যেতে হবে। পিচে কিছু সময় কাটানোর দরকার ছিল। এই সিরিজে সেটাই করতে পেরেছি।’
সারাবাংলা/এফএম