যেকোনো সময় সরে দাঁড়াতে পারেন ট্রুডো
৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:১৪ | আপডেট: ৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:৫৪
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তার দল লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও খুব শিগগিরই ট্রুডো তার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সূত্র।
রোববার (৫ জানুয়ারি) তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য মেইল অ্যান্ড গ্লোবের প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রুডো কখন তার বিদায়ের ঘোষণা দেবেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে বুধবার (৮ জানুয়ারি) তার দলের জতীয় ককাস বৈঠক আছে, যার আগেই আসতে পারে এ ঘোষণা। এমনকি আজ সোমবারও (৬ জানুয়ারি) ট্রুডো এ ঘোষণা দিয়ে বসতে পারেন।
ট্রুডো পার্টিপ্রধানের পদ ছেড়ে দিলে নতুন দলীয় প্রধান কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তবে দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পাশাপাশি ট্রুডো তাৎক্ষণিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেবেন নাকি নতুন দলীয় প্রধান নির্বাচিত হয়ে তার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগ পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাবেন, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য মেলেনি।
দ্য মেইল অ্যান্ড গ্লোব লিখেছে, ট্রুডো এরই মধ্যে অর্থমন্ত্রী ডমিনিক লেব্ল্যাংকের সঙ্গে কথা বলেছেন। জানতে চেয়েছেন, ডমিনিক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব নিতে রাজি কি না।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, ডমিনিক পার্টির নেতা হওয়ার দৌড়ে নামতে চাইলে হয়তো অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে রাজি নাও হতে পারেন।
এর আগে ২০১৩ সালে ট্রুডো লিবারেল পার্টির প্রধান নির্বাচিত হন। ওই সময় হাউজ অব কমন্সে তৃতীয় অবস্থানে নেমে গিয়েছিল লিবারেল পার্টি। পরে ২০১৫ সালে তার নেতৃত্বেই লিবারেল পার্টি সরলার গঠন করে।
ট্রুডোর পদত্যাগে নতুন করে নেতৃত্ব সংকটে পড়বে তার দল। কারণ আগামী অক্টোবরেই রয়েছে দেশটির আসন্ন নির্বাচন। বিভিন্ন জনমত জরিপের তথ্য বলছে, ওই নির্বাচনে রক্ষণশীলদের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে যেতে পারে ট্রুডোর লিবারেল পার্টি।
অবশ্য ট্রুডো পদত্যাগ করলে নির্বাচন এগিয়ে আনার দাবি জোরালো হয়ে উঠতে পারে। কারণ আগামী চার বছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে মোকাবিলা করতে সক্ষম একটি সরকার কানাডা চাইবে।
সারাবাংলা/এসডব্লিউ