কোলাকুলি, সম্প্রীতি ও ভালোবাসার বন্ধন
১৬ জুন ২০১৮ ২০:০৯
।। আব্দুল জাব্বার খান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: নীরব আর নিহাল দুই ভাই। বাবার সঙ্গে জাতীয় ঈদগাহে নামাজ পড়তে আসে শনিবার সকালে। নামাজ শেষে প্রথমেই দুই ভাই কোলাকুলি করে। এরপর আশেপাশের অনেকের সঙ্গেই কোলাকুলি করে তারা।
শুধু নীরব আর নিহালই নয়। জাতীয় ঈদগাহে নামাজ শেষে অনেকেই ঈদের দিন কোলাকুলিতে মিলিত হন। এ যেন সম্প্রীতি ও ভালোবাসার বন্ধন। ঈদ ছাড়া এমন দৃশ্য সহজে দেখা যায় না।
শনিবার (১৬ জুন) হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাতে লাখো মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া করা হয়। দোয়া শেষে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন মুসল্লিরা।
জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করতে বাংলামোটর থেকে এসেছেন বুলবুল আহমেদ। সঙ্গে সাত বছরের ছেলে সোয়াত। সোয়াতের তিন বছর বয়স থেকেই ঈদগাহে নিয়ে আসেন বাবা বুলবুল আহমেদ। একসঙ্গে ঈদের প্রধান জামাতে নামাজ আদায় করে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন তারা।
একইরকম পাঞ্জাবি পরে শনিরআখড়া থেকে ঈদ জামাতে এসেছেন মাজহারুল, মাহমুদ, মশিউর ও মাহদী। নামাজ শেষে চার ভাইয়ের কোলাকুলির দৃশ্য দৃষ্টি কাড়ে মুসল্লিদের।
এ সময় বড় ভাই মাজহারুল জানান, ইসলাম ধর্মে ধনী-গরিব, আমির-ফকির, রাজা-প্রজা সবাই সমান। সবাই এক জামাতে নামাজ আদায় করে কোলাকুলি করা ইসলামের রীতি।
পুরান ঢাকার ঠাটারীবাজার থেকে নামাজ পড়তে আসা ওয়াহিদুল হক বলেন, ‘ছেলেবেলার সেই কোলাকুলির দৃশ্য দেখা যায় না। এখন তো ঈদের কোলাকুলির দৃশ্য টিভি ও খবরের কাগজে দেখা যায়।’
প্রাণখোলা সেই কোলাকুলির ঈদ বারবার ফিরে আসুক এমন প্রত্যাশা তার।
ছবি: হাবিবুর রহমান
সারাবাংলা/এজেডকে/একে