Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উৎপাদন বাড়াতে ৬৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে দুই গ্যাস কূপ খননের উদ্যোগ

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:২২ | আপডেট: ৮ জানুয়ারি ২০২৫ ০৩:১৯

ঢাকা: উৎপাদন বাড়াতে আরও দুটি নতুন গ্যাস কূপ খননের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে ‘ডুপিটিলা-১ ও কৈলাশটিলা-৯ নং কূপ (অনুসন্ধান কূপ) খনন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে বিদ্যুৎ,জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৪৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৪১৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ২৩০ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) অনুষ্ঠেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল) এবং পেট্রোবাংলার একটি কোম্পানি কূপ দুটি খনন করবে। আগামী ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে।

সূত্র জানায়, নতুন কূপ খননে গ্যাস পাওয়া গেলে ডুপিটিলা-১ ও কৈলাশটিলা-৯নং কূপ দুটি থেকে প্রথম ৫ বছরে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে এবং পরবর্তী ৫ বছরে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট হারে অর্থাৎ ১০ বছরে মোট ৫৬ বিসিএফ গ্যাস উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদার আংশিক পূরণ করা সম্ভব হবে বলে প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে।

প্রস্তাবে বলা হয়, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল) এর আওতাধীন সিলেট (হরিপুর), কৈলাশটিলা, বিয়ানীবাজার ও রশিদপুর গ্যাস ক্ষেত্রের মোট ১৪টি কূপ থেকে বর্তমানে দৈনিক কমবেশি ১০৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে। বাপেক্স ২০১৭ সালে ডুপিটিলা স্ট্রাকচারে সম্পাদিত ২ডি সিসমিক জরিপের ওপর ভিত্তি করে প্রণীত ‘ইন্টারপ্রিটেশন রিপোর্ট অন ডুপিটিলা প্রসপেক্ট’ প্রতিবেদনে ভুলিটিলা কাঠামোতে ৩টি নতুন অনুসন্ধান কূপ (প্রপোজড-১, প্রপোজড-২ ও প্রপোজড-৩) খননের প্রস্তাব করা হয়। পরবর্তীতে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড কর্তৃক গঠিত কমিটি প্রস্তাবিত ৩টি প্রসপেক্টসের মধ্যে তুলনামূলক বিচারে ১টি প্রসপেক্ট (প্রপোজড-৩) ডুপিটিলা-১নং কূপ (অনুসন্ধান) খননের সুপারিশ করেছে।

প্রস্তাবে বলা হয়, অপরদিকে বৈদেশিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এ্যাসক্লামবারজার সিকো ইনচ ২০১৮ সালে সম্পাদিত ত্রিমাত্রিক (৩ডি) সিসমিক জরিপ রিভিউ ফলাফলের ভিত্তিতে কৈলাশটিলা কাঠামোতে ৪টি প্রসপেক্ট (এসএলবি-১, এসএলবি-২, এসএলবি-৩ ও এসএলবি-৪)-এ ৪টি অনুসন্ধান উন্নয়ন কূপ খননের সুপারিশ করেছে এবং পেট্রোবাংলার মাধ্যমে গঠিত কমিটি এসএলবি-৪ প্রসপেক্টকে কৈলাশটিলা-৯নং কূপ (অনুসন্ধান) হিসেবে খননের সুপারিশ করেছে। এ জন্য এ প্রকল্পের আওতায় ডুপিটিলা-১ (প্রপোজড- ৩) এবং কৈলাশটিলা-৯ (এসএলবি-৪) নামে দুটি অনুসন্ধান কূপ খননের প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রকল্পের আওতায় উল্লেখযোগ কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- নতুন ২টি অনুসন্ধান কূপ (ডুপিটিলা-১ ও কৈলাশটিলা-৯) খনন; বৈদেশিক পরামর্শক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগ এবং ১৪ কিলোমিটার গ্যাস গ্যাদারিং পাইপলাইন নির্মাণ করা ইত্যাদি।

প্রকল্পটির বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সিলেট বিভাগের জৈন্তাপুর ও গোলাপগঞ্জ জেলায় ডুপিটিলা-১ ও কৈলাশটিলা-৯নং কূপ (অনুসন্ধান কূপ) খনন করে গ্যাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেলে প্রথম ৫ বছরে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে এবং পরবর্তী ৫ বছরে দৈনিক ১২ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদনের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিড লাইনে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো সম্ভব হবে, যা দেশের এবং ওই প্রতিষ্ঠানের আর্থিকও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখবে। এরফলে দেশীয় শিল্পের বিকাশ ঘটবে এবং এলএনজি আমদানি খাতে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।

সারাবাংলা/জেজে/আরএস

গ্যাস কূপ খনন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর