নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির দাবি
৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:২৮ | আপডেট: ৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৫৯
ঢাকা: বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের এমপিও নীতিমালা ২০২১ বাতিল করে স্বীকৃতি প্রাপ্ত সকল নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়েছে নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট নামের একটি সংগঠন।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষে এ দাবি করা হয়। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. দবিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. সেলিম মিয়া।
লিখিত বক্তব্যে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. সেলিম মিয়া বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির দাবিতে ন্যায্য ও যৌক্তিক আন্দোলন করে আসছি। বিগত সরকারের আমলে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দলীয়করণ ও বিশেষ ক্ষমতায় এমপিও ভুক্ত হয়েছে, যা আমাদের কাম্য ছিল না। আমরা চেয়েছিলাম সকল স্বীকৃতি নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্ত করণ। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার বিভিন্ন সময় মনগড়া নীতিমালার বেড়াজালে আটকিয়ে দীর্ঘ ২০ থেকে ২৫ বছর বা তারও অধিক সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত না করে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এটি মানবাধিকার লঙ্ঘন, শ্রম নীতিমালার পরিপন্থি ও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। পৃথিবীর কোন শিক্ষা ব্যবস্থায় এমপিও ভুক্ত নীতিমালা নেই। একাডেমি স্বীকৃতিই এমপিও ভুক্তির নীতিমালা। আমাদের বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় এমপিওকরণ নীতিমালা একটা অযৌক্তি নীতিমালা। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন যাবত নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষার মান নিম্নের দিকে চলে যাচ্ছে। তাই কাম্য শিক্ষার্থী, কাম্য পরীক্ষার্থী, কাম্য ফলাফল সন্তোষজনক নয়। এমতাবস্থায় শিক্ষা মান বৃদ্ধি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রক্ষার স্বার্থে অনতিবিলম্বে একাডেমিক স্বীকৃতিই এমপিও ভুক্তির একমাত্র নীতিমালা করে, সকল নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিও ঘোষণা করতে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ করছি।’
এ সময় বক্তব্য রাখেন নন এমপিও শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. দবিরুল ইসলাম, নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. ইমরান বিন সোলায়মান, অধ্যক্ষ মজনু মোহাম্মদ প্রামাণিক, অধ্যক্ষ পল্লব কুমার দে, অধ্যক্ষ সালেহউজ্জামান চৌধুরী রাজন, শিক্ষক মো. কবির উদ্দিন, হাওলাদার মো. আবুল কালাম আজান, ফয়সাল ইবনে মোস্তফা, শাহনাজ ইসলাম মুক্তা, প্রধান শিক্ষক মো. পনির উদ্দিনসহ আরও অনেকে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমপি