অ্যাকসেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং খাতে সরকারের সহায়তা প্রয়োজন
৯ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৩৮
ঢাকা: পোশাক শিল্পের অ্যাকসেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং খাতের জন্য সরকারের নীতি সহয়তা প্রয়োজন। বিশ্ব বাজারে রফতানি বাড়াতে সরকারকে দীর্ঘমেয়াদি নীতি গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা পেলে দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে এ খাত বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতা করতে পারবে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ‘সাসটেইনেবল অ্যাপ্রোচ বাই বিজিএপিএমইএ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। ১৪তম গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং এক্সপোজিশন (গ্যাটেক্সপো) ২০২৫ এবং এর সমসাময়িক ইভেন্ট, গার্মেন্টস টেকনোলজি বাংলাদেশ (জিটিবি) ২০২৫ উপলক্ষে এই সেমিনার আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ) এবং এএসকে ট্রেড শো অ্যান্ড এক্সিবিশন প্রাইভেট লিমিটেডের যৌথ আয়োজনে চার দিনব্যাপী মেলায় পোশাক, নিটওয়্যার, প্যাকেজিং, পাদুকা থেকে পণ্য, টেক্সটাইল শিল্পের কাঁচামাল এবং যন্ত্রপাতি প্রদর্শন করা হচ্ছে।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বেসরকারি খাতের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অ্যাকসেসরিজ ও প্যাকেজিং খাতে উচ্চ মূল্য সংযোজন হয়ে থাকে। এ কারণে একসময়ের আমদানিনির্ভর এই শিল্প এখন দেশের চাহিদা মিটিয়ে সরাসরি রফতানি হচ্ছে। বৈশ্বিক বাজার সম্প্রসারণের জন্য অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধার বিপরীতে এ খাতে নিজেদের সক্ষমতা আর উৎপাদনশীলতার উপর নজর দিতে হবে। তিনি বলেন, সঠিক নীতি সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশের এই খাত বিশ্ব বাজারে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
বিজিএপিএমইএর সাবেক সভাপতি চৌধুরী রাফেজ আলম তার মূল বক্তব্যে সবুজ রূপান্তরের জন্য পর্যাপ্ত সরকারি সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি পরিবেশবান্ধব পণ্যের ন্যায্য মূল্য দেওয়ার জন্য বিশ্ব ক্রেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। উন্নয়ন অংশীদারদের উচিত তাদের সিএসআর কর্মসূচির মাধ্যমে পশ্চাৎপদ সংযোগ শিল্পকে সমর্থন করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ব বাজারের সরাসরি রফতানির অংশীদারিত্ব বাড়াতে নগদ প্রণোদনাসহ সরকারের নীতি সহায়তা দরকার।
বাংলাদেশ-থাই চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, এখন জ্বালানি নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। এটাকে শিল্পের টেকসইয়ের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা সরকারের কাছ থেকে নিরবিচ্ছন্ন জ্বলানি সরবরাহ পাচ্ছি না। সরকার যদি নিরবিচ্ছন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করে, তাহলে শিল্পের আর ভর্তুকি লাগবে না। শামস মাহমুদ নিজস্ব ডিজাইনের মাধ্যমে মূল্য সংযোজন বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন।
সমাপনী বক্তব্যে পরিবেশবান্ধব অ্যাকসেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধির গতিপথে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন বিজিএপিএমইএ সভাপতি মো. শাহরিয়ার।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এনজে