Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাইসাইকেল হবে আগামীর আবশ্যিক বাহন


১৭ জুন ২০১৮ ১৬:৩৪

।। সারাবাংলা ডেস্ক।।

যানজটের সমাধানে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাইসাইকেল। ১৫ বছর আগেও বিশ্বের বিভিন্ন শহরে মাত্র চারটি বাইক-শেয়ারিং ব্যবস্থা চালু ছিল, কিন্তু বর্তমানে সে সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়েছে। এটি খুব সহজেই অনুমেয় যে ভবিষ্যতের আধুনিক শহরের এক আবশ্যিক বাহন হবে বাইসাইকেল।

প্রয়োজনমতো সাইকেল পাওয়া ও জমা দেওয়ার রীতি বেশ জনপ্রিয়। তবে চীনে চালু হওয়া ‘ডকলেস’ পদ্ধতি বিশ্বব্যাপী বেশ সমালোচিত হচ্ছে। ভেইলিব প্রথম প্রকাশ্যে বাইক শেয়ারিং পদ্ধতি চালু করে ২০০৭ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে। পরিবেশের কোন ক্ষতি করে না এবং এরপাশাপাশি শরীরের জন্যও সাইকেল বেশ উপকারি। ভেলিব ব্যবহারকারীরা গত ৬ বছরে প্রায় ১৯ বিলিয়ন ক্যালোরি পুড়িয়েছেন।

বাইক শেয়ারিংয়ে নতুন চালু হওয়া উবারের বাইকের মতো অফো চাচ্ছে এই প্রথা ভেঙ্গে দিতে। চীনের সব থেকে বড় এই বাইক শেয়ারিং সার্ভিসের ৩৪ শহরে প্রায় ৩০ লাখ সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে। বিশ্বের আরও ১৫০ দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে এই সার্ভিস। এতে ব্যবহারকারীরা নিকটবর্তী বাহনের অবস্থান জানতে পারেন এবং সেটিকে ব্যবহার করতে চার সংখ্যার একটি কোড সরবরাহ করা হয়।

ঘণ্টা প্রতি ৫০ শতাংশ মূল্য পরিশোধ করার শর্তে তারা যতক্ষণ ইচ্ছে এটি ব্যবহার করতে পারেন। যখন তাদের ব্যবহার শেষ হয়ে যায়, তখন যেখানে ইচ্ছে-সেখানেই তারা বাইকটি রেখে চলে যেতে পারেন। যদিও কাছের কোন বাইক রাখার স্থানে সেগুলো রাখার জন্য নির্দেশনা দেয়া আছে।

গেসলেওলে ই-বাইকের মাধ্যমে লন্ডনের যানজটকে টেক্কা দিয়েছেন জেন ওয়েকফিল্ড। তিনি বলেন, ‘ একটি আধাশহর যেখানে আমি বাস করি, সেখানে আমি প্রতিদিন সাইকেল চালিয়ে স্টেশনে যাই। কিন্তু লন্ডনের শহরে সাইকেল নিয়ে বের হওয়ার সাহস করতাম না। কিন্তু যখন ডাচ ইবাইক কোম্পানী গেজলের সুবাদে আমি এই শহরের সাইকেল চালানোর উপযোগী অবকাঠামো পেলাম, তখন আমি সব জায়গাতে সাইকেল চালিয়ে যেতে আরম্ভ করলাম।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, প্রথম আমি যেই জিনিসটি আবিষ্কার করি তা হলো- সাইকেলের জন্য তৈরি হওয়া পৃথক লেনগুলো বেশ সহজ, আরামদায়ক এবং নিরাপদ। মনে হচ্ছে যেন যানবাহনের জন্য স্থায়ী বিকল্প এক মাধ্যম তৈরি হলো।

শুধু লন্ডনেই নয়, টোকিও, বেইজিং, অক্সফোর্ড, সাংহাইয়ে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের বাইক শেয়ারিং অ্যাপস। যাতায়াতকে আরও স্বাচ্ছন্দ্য করতে তৈরি করা হচ্ছে আলাদা সাইকেল লেন। নেদারল্যান্ডস এর ২৭ শতাংশ যাতায়াত হয় বাইসাইকেলে মাধ্যমে এবং দেশটির নাগরিকরা প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার বা ৬০০ মাইল সাইকেল চালিয়ে থাকেন।

চীনের শহর জিয়ামেনে শুরু পৃথক সাইকেল লেন তৈরি শুরু হয়েছে। ডাচ সরকার আগামী ১০ বছরে তাদের নাগরিকদের বার্ষিক গড় সাইকেল চালানোর পরিধি বাড়াতে চাচ্ছে। এজন্য তারা ৪০ হাজার অতিরিক্ত সাইকেল পার্ক এবং সাইক্লিস্টদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা তৈরিতে বরাদ্দ দিয়েছে।

সারাবাংলা/এমআইএস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর