গ্যাসের মূল্য বাড়ালে অনেক শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে যাবে: বিপিজিএমইএ
১২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:০৫ | আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৩৯
ঢাকা: গ্যাসের মূল্য বাড়ালে অনেক শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিপিজিএমইএ)।
রোববার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর পল্টন টাওয়ারে বিপিজিএমইএ’র কার্যালয়ে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিপিজিএমইএ’র সভাপতি সামিম আহমেদ ‘গ্যাসের প্রস্তাবিত দাম শিল্পের জন্য খুবই কঠিন হবে’ উল্লেখ করে বলেন, এটি শিল্প ধ্বংসের একটি পরিকল্পিত চক্রান্ত। গ্যাসের দাম বাড়ালে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব শিল্পে নানামুখী নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং শিল্পায়নকে নিরুৎসাহিত করবে। শিল্পে নতুন বিনিয়োগ আসবে না, কর্মসংস্থানও হবে না। বিদেশি বিনিয়োগও আসবে না।
তিনি বলেন, এছাড়া সাম্প্রতিককালে শিল্পখাত নানা সংকটের মুখে। শ্রমিক অসন্তোষ ও বেতন-ভাতা বকেয়া থাকার কারণে বেশ কিছু কারখানা এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় গ্যাসের দাম বাড়ালে শিল্পোদ্যোক্তারা আরও বিপদে পড়বেন।
ভ্যাট বাড়ানো প্রসঙ্গে সামিম আহমেদ বলেন, কোনো আলোচনা ছাড়া ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তটি অবিবেচনা প্রসূত। এতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমবে। নতুন করে সংকটে পড়বে ব্যবসা-বাণিজ্য ।
বিপিজিএমইএ’র সভাপতি বলেন, এদিকে উদ্বেগের বিষয় হলো যে, দেশি গ্যাসের উৎপাদন ক্রমেই কমছে। অন্যদিকে নতুন এলএনজি টার্মিনাল নির্মিত না হলে আমদানিও বাড়ানো যাবে না। আগামী দুই বছরেও নতুন টার্মিনাল চালুর তেমন সম্ভাবনা নেই। এ অবস্থায় দেশের শিল্পখাত দ্বিমুখী সংকটে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, পেট্রো বাংলা দুটি উৎস থেকে গ্যাস সংগ্রহ করে। দেশি গ্যাস কিনে নেয় বিভিন্ন কোম্পানি থেকে । এতে প্রতি ইউনিটে তাদের গড়ে খরচ হয় ৬ টাকা ৭ পয়সা। কি ন্তু তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি ) আমদা নি করতে খরচ হচ্ছে ৭৫ টাকার বেশি। এতে লোকসানে আছে সংস্থাটি। ভর্তুকি দিতে রাজি নয় সরকার। তাই এখন এলএনজি আমদানির খরচ পুরোটাই শিল্পের ওপর চাপাতে চাইছে পেট্রোবাংলা ।
সংবাদ সম্মেলনে গ্যাস ও এলএনজি’র ব্যাপারে প্লাস্টিক খাতের কিছু প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। এগুলো হলো –
১. নতুন কূপ খননে আরও বিনিয়োগ এবং আরও বাস্তব পদক্ষেপ নিতে সরকারকে ১৫০টি কূপ খননের উদ্যোগ নেওয়া;
২. মিয়ানমার থেকে গ্যাস আমদানির উদ্যোগ নেয়া;
৩. সংকট সমাধানে নতুন এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ করে আমদানি বাড়ানো এবং
৪. দেশের শিল্পায়ন ও বিনিয়োগের স্বার্থে বর্তমান গ্যাসের মূল্য ৩০ টাকা অব্যাহত রাখা ইত্যাদি।
সারাবাংলা/এফএন/আরএস