Thursday 18 Sep 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ওয়ান টাইম প্লাস্টিক বন্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৬ হাজার প্রতিষ্ঠান: বিপিজিএমইএ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:০১ | আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:৩৮

ওয়ান টাইম প্লাস্টিক বন্ধে সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় বিপিজিএমই ‘র সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা : একবার ব্যবহারযোগ্য (ওয়ান টাইম) প্লাস্টিক বন্ধ হলে এ খাতের ৬ হাজার শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ)। এর ফলে কয়েক লাখ শ্রমিক কর্মচারীর চাকরি হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলেও মনে করছে সংগঠনটি ।

রোববার (১২ জানুয়ারি ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানায় বিপিজিএমইএ)। গ্যাসের দাম বৃদ্ধি ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বন্ধে সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিপিজিএমইএ সভাপতি সামিম আহমেদ বলেন, প্লাস্টিক পণ্য (ওয়ান টাইম) বন্ধ করার প্রচেষ্টার ফলে প্লাস্টিক খাতের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং লিংকেজ হিসেবে অন্যান্য খাতের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে ।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, এই আইনের কারণে শিল্প বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি বাজারে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দেশের পরিবেশ দূষণমুক্ত করা এবং পরিবেশ উন্নয়নে ২০০২ সালে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্লাস্টিকের শপিং ব্যাগ বন্ধ করে দেয় পরিবেশ মন্ত্রণালয়। এতে প্লাস্টিকের শপিং ব্যাগ প্রস্তুতকারক ৩০০ বড় কারখানা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন ব্যবসায়ীরা। এর ফলে অনেক শ্রমিক কাজ হারান।

এ প্রেক্ষিতে একবা র ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পুরোপুরি নিষিদ্ধ না করে বিকল্প কিছু প্রস্তাব দিয়েছে বিপিজিএমইএ। সেগুলো হলো-১. প্লাস্টিকের পুনঃচক্রায়নের মাধ্যমে বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর করা। এর ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা কমানো এবং মহাসাগরীয় প্লাস্টিক দূষণ রোধ করার ব্যবস্থা নেয়া;
২. অর্থনৈতিক প্রভাব কী হবে- তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, বিডা, এফবিসিসিআই এবং অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া;
৩. যেহেতু ইউএনএ’র রেজুলেজুলেশন অনুযায়ী ২০৩০ সাল পর্যন্ত একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বন্ধের কথা আছে, সে অনুযায়ী বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া;
৪. ১৭টি পণ্য নিষিদ্ধ হলে জিডিপি কমে যাবে এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ আসবে না । এতে করে যেসব বিদেশি কোম্পানির বিনিয়োগ আছে, তারা চলে যেতে বাধ্য হবে । কারণ প্যাকেজিং ছাড়া কোনো পণ্য বাজারজাত করা সম্ভব নয়। সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়গুলো বিবেচনার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সারাবাংলা/এফএন/আরএস

বিজ্ঞাপন

কুয়াকাটায় আইনজীবীকে কুপিয়ে জখম
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০০:২৩

আরো

সম্পর্কিত খবর