ঢাকা: হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) মোকাবেলায় সাত নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। স্বাস্থ্য অধিদফরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হালিমুর রশিদ সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনাগুলো হলো- শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো থেকে রক্ষার মাস্ক ব্যবহার; হাঁচি-কাশির সময় বাহু/টিস্যু দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখা; ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনাযুক্ত ময়লার ঝুড়িতে ফেলা এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া; আক্রান্ত ব্যক্তিদের সম্পন্ন এড়িয়ে চলা এবং কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখ; অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক-মুখ স্পর্শ না করা; জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকা, প্রয়োজনে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করাতে নির্দেশনায় বলা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা পরিস্থিতির ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখছে। হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের রোগের মতো ফ্লুয়ের মতো উপসর্গ সৃষ্টি করে। যা সাধারণত ২-৫ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তাই আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হলো।
আরও বলা হয়, চীনসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে এইচএমপিভি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং ভাইরাসের তীব্রতা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। সেই সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, গর্ভবর্তী মহিলা এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উচ্চ ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।
পৃথিবীর অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও এই রোগের সংক্রমণ দেখা যায়। সম্প্রতি চীন ও অন্যান্য দেশে এর প্রার্দুভাব দেখা দেওয়ায় বাংলাদেশ এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা আবশ্যক। যার জন্য সব স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র এবং পয়েন্টস অব এন্ট্রিগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করা প্রয়োজন। এই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে এই ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে এসকল নির্দেশনা অনুসরণ করা এবং জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ করা হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ।