‘প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি চাই না’
১২ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:৫৯
ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আমরা কখনো চাই না যে, নিকট প্রতিবেশীর সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের অবনতি হোক। কিন্তু, আমরা কখনো এটাও মানতে রাজি নই যে, তারা এমন কিছু করুক যাতে বোঝা যায়, তারা আমাদের জনগণের মর্যাদাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না।
রোববার (১২ জানুয়ারি) রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে লেবার পার্টির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘কাঁটা তারের বেড়া দিতে পারেন তারা। এটা তাদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্য তারা করতে পারেন। কিন্তু, প্রশ্ন হচ্ছে সেই বেড়ায় ফেলানি ঝুলে থাকবে— এটা গ্রহণযোগ্য না। আমরা মনে করি যে, সীমান্তে যেকোনো ব্যবস্থা নেওয়ার আগে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা হওয়া দরকার। এবং আলোচনা করে যেটা ভালো হয়, উভয়ের কাছে গ্রহণযোগ্য, সেটা হওয়া উচিত।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘স্বৈরশাসকের পতনের পর আমরা চেয়েছিলাম জনগণ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারুক এবং তাদের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে পারবে- এমন কিছু যোগ্য মানুষের হাতেই আমরা দায়িত্ব দিয়েছিলাম। আমরা আশা করছি, তারা জনগণের দুর্ভোগ যাতে কমে তার চেষ্টা করবে এবং যত দ্রুত গণতন্ত্রে ফেরত যেতে যাওয়া যায় তার ক্ষেত্র প্রস্তুত করবে।’
‘একটা বিশেষ প্রেক্ষিতে তাদের এ রকম সিদ্ধান্ত (ভ্যাট বৃদ্ধি) নিতে হয়েছে। আমরা মনে করি, যে সিদ্ধান্ত জনগণের দুর্ভোগের কারণ হয় তেমন সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার জনপ্রিয় থাকতে পারে না। অথচ আমরা এই সরকারকে জনপ্রিয় দেখতে চাই। আমরা মনে করি যে, সরকারের অন্য পথ গ্রহণ করা দরকার। এই সরকার যদি জনপ্রিয়তা হারায়, তাহলে পতিত ফ্যাসিবাদের দোসররাই খুশি হবে, আমরা যারা আন্দোলনে ছিলাম, তারা কেউ খুশি হব না। আমরা আশা করব, সরকার এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না, যে সিদ্ধান্ত তাদেরকে জনগণ থেকে দূরে সরিয়ে দেবে’— বলেন নজরুল ইসলাম খান।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা যারা যুগপৎ আন্দোলনে ছিলাম, একসঙ্গে যারা যুগপৎ আন্দোলন করেছি, তাদের সবার সঙ্গে আমরা মতবিনিময় করছি। এই মতবিনিময় শেষে এ ব্যাপারে আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত জানাব।’
সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম