দ.কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউনের অভিশংসন বিচার শুরু
১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:০৪ | আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৪৩
দক্ষিণ কোরিয়ার সাময়িকভাবে বরখাস্ত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের অভিশংসন মামলা নিয়ে প্রথম শুনানি শুরু করেছে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রচারিত খবরে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
গত মাসে (ডিসেম্বর, ২০২৪) আকস্মিকভাবে সামরিক আইন জারির চেষ্টা করার পর ইউনকে তার পদ থেকে অপসারণের বিষয়ে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে ইউনের অনুপস্থিতির কারণে শুনানিটি মাত্র চার মিনিটে শেষ হয়।
ইউনের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, নিরাপত্তার কারণে ইউন শুনানিতে উপস্থিত হবেন না, কারণ তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের পৃথক অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
ডিসেম্বরে ইউনের নিজ দল রক্ষণশীল পিপল পাওয়ার পার্টির সদস্যরা বিরোধীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেওয়ার পর ইউনকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
তবে তাকে চূড়ান্তভাবে ক্ষমতাচ্যুত করতে হলে আট সদস্যবিশিষ্ট বেঞ্চের অন্তত ছয়জন বিচারপতিকে অভিশংসন সমর্থন করতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার আইনে ইউনের অনুপস্থিতিতে মামলার শুনানি চালানোর জন্য আদালতকে নতুন তারিখ নির্ধারণ করতে হবে। পরবর্তী শুনানি বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইউনের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, উপযুক্ত সময় এ তিনি শুনানিতে হাজির হবেন। তবে তারা আদালতের একতরফা তারিখ নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) আদালত ইউনের আইনজীবীদের একজন বিচারপতিকে বিচার থেকে প্রত্যাহারের আবেদন খারিজ করেছে।
উল্লেখ্য, গত ৩ ডিসেম্বর ইউনের স্বল্পমেয়াদি সামরিক আইন ঘোষণার ফলে দেশটি রাজনৈতিক সংকটে পড়েছে। যদিও ইউন দাবি করেছেন, তিনি রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি থেকে দেশ রক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।
দেশটির রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে যার ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার মুদ্রা ওনের মূল্য কমেছে।
এর আগেও দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট রোহ মু-হিউন (২০০৪) এবং পার্ক গিউন-হে (২০১৭) তাদের অভিশংসন শুনানিতে অংশ নেননি। পার্কের ক্ষেত্রে প্রথম শুনানি তার অনুপস্থিতিতে নয় মিনিটে শেষ হয়। রোহ দুই মাসের বিচার শেষে পুনর্বহাল হয়েছিলেন, তবে পার্কের অভিশংসন বহাল রাখা হয়।
সারাবাংলা/এনজে