পর্তুগালে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৭
১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:৪৬ | আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:০৮
পর্তুগাল: পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সাত জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
রোববার (১২ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় বিএনপির দুই পক্ষের ব্যক্তিগত সমস্যার জেরে হামলার এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- তারেক আহমেদ, সুমন (মিলফোন্তেজ) সামসুজ জামান, গ্লিলমান, জামিল ও জুবেল। তারা পর্তুগালের সাও জসে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হামলার বিষয়ে খান মোহাম্মদ বলেন ,আমি যতদুর জানি পর্তুগাল বেজা শহরে বিএনপির সিনিয়র সভাপতি কামিল আহমেদ জন্মদিনের দাওয়াত দেওয়াকে কেন্দ্র করে হামলার সূত্রপাত হয়।
পর্তুগাল বিএনপির সদস্য সচিব ছায়েফ আহমেদ সুইট বলেন, বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসীদের ছাড় নেই যারা এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কেউই পর্তুগাল বিএনপির কোনো পদধারী নন। যদি পর্তুগাল বিএনপির কেউ এই রকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পর্তুগালের লিসবনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর (পিএসপি) ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্টের মতে, হামলায় আহত হয়ে চার জন পুলিশ ফাড়িতে সাহায্যের জন্য এলে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই এবং পরিদর্শন করি। হামলায় যারা আহত হয়ে পুলিশ ফাড়িতে আসে তাদের মধ্যে একজনের কোমরে ছুরি আঘাত ও অপর দুই জনের মাথায় ছুরি আঘাতের চিন্হ রয়েছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে লিসবন মেট্রোপলিটন পুলিশ কাজ করছে শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
পর্তুগাল বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতা রানা তাসলিম উদ্দিন জানান, বাংলাদেশিদের দুই পক্ষের এ ধরনের হামলা অত্যন্ত দুঃখজনক, পর্তুগালের আরেকটি শহর থেকে এসে বাংলাদেশি পাড়ায় নামধারী কিছু সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালায়। আমি যতটুকু হামলার পর থেকে পর্তুগালর গোয়েন্দা সংস্থা অস্ত্র ধারি হামলাকারী দের চিন্হিত করতে কাজ করছে। এ ঘটনায় পর্তুগীজদের এর কাছে বাংলাদেশিদের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। আমি এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।
সারাবাংলা/ইআ