অব্যাহতিপ্রাপ্ত এসআইদের অনশন চলছে
১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:০৪ | আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৪১
ঢাকা: চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে আমরণ অনশনে পুলিশের ৪০তম ব্যাচের অব্যাহতিপ্রাপ্ত শিক্ষানবিশ উপপরিদর্শকরা (এসআই)। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিতে দেখা গেছে তাদের। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সচিবালয়ের ১ নম্বর গেটের উলটো দিকে বসে আছেন তারা।
এর আগে গত ৬ জানুয়ারি অব্যাহতিপ্রাপ্ত উপপরিদর্শকরা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন। এরপর তাদের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে প্রবেশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। কিন্তু কর্মকর্তারা তাদের দাবি পূরণে কোনো আশ্বাস দেননি। তাই সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেল থেকে আমরণ অনশনে বসেন তারা। সচিবালয়ের ১ ও ২ নম্বর গেটের বিপরীত পাশে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের দিকের সড়কে অনশনে বসেছেন তারা।
অব্যাহতি পাওয়া এসআই ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমরা সোমবার বিকেল থেকে এখনো অনশনে আছি। শীতের মধ্যে রাতে অনেক কষ্ট হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা অনশন চালিয়ে যাব।’
আরেক এসআই মৃদৃল পোদ্দার বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। এ অন্যায়ের প্রতিকার না হওয়া পর্যন্ত আমরা অনশনে থাকব। আমরা আশা করছি সরকার আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেবে। আমরা অন্যায় করলে এত কষ্ট সয়ে দাবিতে অটল থাকতাম না। সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। আশা করছি সরকার আমাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেবে।’
অব্যাহতি পাওয়া অন্য এসআইরা জানিয়েছেন, ট্রেনিং থেকে অন্যায়ভাবে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদ ও চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে তারা ৩২১ জন সাব-ইন্সপেক্টর গত ৫ ও ৬ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তাদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র সচিব দেখা করে দাবির বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ তারা দেখতে পাননি। সে জন্য তারা সোমবার ফের অবস্থান কর্মসূচি পালনে এসেছিলেন। এরপর ফলপ্রসূ আলোচনা না হওয়ায় শুরু করেন অনশন কর্মসূচি।
৪০তম ক্যাডেট এসআই ব্যাচে প্রশিক্ষণের জন্য মোট ৮২৩ জন ছিলেন। তারা গত বছরের ৪ নভেম্বর থেকে রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শুরু করেন। তাদের মধ্যে চার ধাপে ৩১৩ জন এসআইকে মাঠে ও ক্লাসে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ তুলে শোকজ করে একাডেমি। ইতিমধ্যে তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/জেআর/এমপি