Tuesday 14 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিলের শুনানি ২১ জানুয়ারি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:৫১ | আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৪৫

ঢাকা: রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে দলটির করা আপিলের পরবর্তী শুনানি আগামী মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক ও আইনজীবী শিশির মনির। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।

এর আগে, ২২ অক্টোবর রাজনৈতিক দল হিসেবে বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আপিল পুনরুজ্জীবিত (রিস্টর) করেন আপিল বিভাগ।

আপিল পুনরুজ্জীবিত (রিস্টর) করার পর দলটির নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের ওপর আজ দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি শেষ হয়েছে। এর আগে ৩ ডিসেম্বর আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়

২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে সাময়িক নিবন্ধন দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরে ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ওই সময়কার সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির তৎকালীন মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ ব্যক্তি জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন।

রিটে জামায়াতের ওই সময়কার আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও নির্বাচন কমিশনসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়।

ওই রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক (পরে প্রধান বিচারপতি) ও বিচারপতি মো. আবদুল হাইয়ের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রুল জারি করেন। রুলে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন কেন আইনি কর্তৃত্ব বহির্ভূত ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০বি (১) (বি) (২) ও ৯০ (সি) অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

এরপর জামায়াত তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়। এসব সংশোধনীতে দলের নাম ‘জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ করা হয়।

জারি করা সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ ২০১৩ সালের ১ আগস্ট বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেন।

হাইকোর্টের এই রায় স্থগিত চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন একই বছরের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী। পরে একই বছরের ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী নিয়মিত আপিল করে। এর মধ্যে ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে শেখ হাসিনার সরকার।

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারায় জামায়াত ও ছাত্রশিবিরসহ তাদের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের ২০ দিন পর গত ২৮ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধের সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ

জামায়াতের নিবন্ধন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর